‘ফেসবুক-টুইটার থাকলেই লাল দাগ’! বাংলার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বার্তা ঘিরে তোলপাড়

বাংলা হান্ট ডেস্ক : হালফিলের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) কোনও রঙ্গমঞ্চের চেয়ে কম নয়। প্রত্যেকেই কিছু না কিছু করে জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টায় মত্ত। টাকাও রোজগার হয় দেদার। বিশেষ করে দিনদিন বেড়েই চলেছে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের সংখ্যা। এর যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমন খারাপ দিকও রয়েছে।

প্রাপ্তবয়স্করা এই খারাপ ভালোর মাঝে থাকা সূক্ষ্ম পার্থক্যটা ধরতে পারলেও কিশোর-কিশোরীরা সেই পার্থক্য বুঝবেনা সেটাই স্বাভাবিক। যে কারণে অনেকেই ভুলভাল পদক্ষেপও নিয়ে ফেলেন। এমন পরিস্থিতিতে তাদের বোঝানোর জন্য অনেকেই একটু কড়া হাতে শাসন করে থাকেন। তবে তাই বলে, একজন ছাত্রীর ক্যারেক্টার সার্টিফিকেটে ‘লাল দাগ’ দেওয়ার হুমকি কতটা গ্রহণযোগ্য?

সম্প্রতি একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মূলত কোনও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সেটি। যেখানে একজন শিক্ষিকা তার স্কুলের (School) ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। সেই বার্তা ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভাইরাল এই স্ক্রিনশট থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে বারাসাত কালিকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে (Barasat Kali Krishna Uchha Balika Vidyalaya)।

আরও পড়ুন : ‘বিরোধীরাই BJP কে জেতাবে’! বাংলায় লোকসভার ফল নিয়ে বিষ্ফোরক PK, দিলেন ৭ যুক্তি

প্রধান শিক্ষিকা বেশ কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে যে, তার স্কুলে পাঠরত এমন কোনও ছাত্রীর যদি কোনও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে সে আর স্কুলে পড়তে পারবেনা। এমনকি সেই ছাত্রীর ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট পেতেও সমস্যা হবে বলে লিখেছেন তিনি। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, তারাও যেন তাদের মোবাইল ফোন ছাত্রীদের হাতে না দেয়।

আরও পড়ুন : আম জনতার কপালে চিন্তার ভাঁজ! প্যারাসিটামল সহ ৮০০ ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে সরকার

ey school girls learning using mobile.jpg.rendition.690.460

আপাতদৃষ্টিতে শিক্ষিকার বার্তাটি সঠিক মনে করলেও গোল বেঁধেছে তার বাচনভঙ্গিতে। একজন ছাত্রী, যে সবে সবে বাইরের জগত চিনতে শিখেছে তার কাছে এসব হাতছানি এড়িয়ে যাওয়া এতটাও সহজ নয়। এমন আবহে তাকে যুক্তি দিয়ে না বুঝিয়ে সোজা ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট নিয়ে ভয় দেখানো কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আম জনতা। কমেন্ট বক্সে নিন্দার ঝড় উঠেছে যেন। নেটিজনদের মতে, এতে শিশুরা ঠিক ভুল তো শিখবেইনা উল্টে আরও বেশি বিপথেই এগিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, বাংলা হান্টের পক্ষ থেকে ভাইরাল এই স্ক্রিনশটটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর