বাংলাহান্ট ডেস্ক : শখ সদ্য গাড়ি কিনেছিলেন যুবক। কিন্তু কাল হল সেই গাড়িই। গাড়ির লোনের কিস্তি দিতে না পারায় চরম নৃশংসতার শিকার হতে হল বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবককে। বাড়ির লোকজন যতক্ষণে খবর পেলেন ততক্ষণে গাড়ির শোরুমে ঝুলছে যুবকের দেহ। জানা যাচ্ছে নিহত ওই যুবকের নাম সাদ্দান হোসেন। বারাসাতের ছোটো জাগুলিয়া এলাকার বাসিন্দা তিনি।
দিন কুড়ি আগে নৈহাটির এস কে বাজাজের শোরুম থেকে একটি গাড়ি কেনেন সাদ্দাম। এক্ষুণি পুরো টাকা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় লোন নিয়েই গাড়িটি কেনেন তিনি। সেই লোনের কিস্তি বাবদ ৪৫ হাজার টাকার একটি চেক গাড়ি কোম্পানিকে দেন ওই যুবক। কিন্তু কোনও কারণে বাউন্স করে সেই চেকটি। এরপরই গত সোমবার সাদ্দাম হোসেনকে নৈহাটির শোরুমে ডাকে ওই কোম্পানি।
সেই মতই গত মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ শোরুমে দেখা করতে যান যুবক। আর সেখান থেকে শুরু আসল ঘটনার। সেই শোরুম থেকেই আর কখনও বেরোনো হল না যুবকের৷ পরিবার সূত্রে খবর, শোরুমে ঢোকার কিছুক্ষণ পরই বাড়িতে এবং বন্ধুদের ফোন করেন সাদ্দাম। আর এবার সেই ফোনের রেকর্ডিং সামনে আসতেই উঠে এসেছে একাধিক বিস্ফোরক বিষয়।
ওই কল রেকর্ডিং এর প্রেক্ষিতে সাদ্দামের বন্ধু এবং পরিবারের অভিযোগ, শোরুমে ঢোকার পরই ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল সাদ্দামের উপর। এমনকি মারধরও করা হয় তাঁকে। বাড়িতে ফোন করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টাকা নিয়ে এসে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার আর্তিও করতে শোনা যায় তাঁকে। যদিই এই কল রেকর্ডিং এর সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট।
সেই খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সেই শোরুমে পৌঁছেও খুঁজে পাননি যুবককে। এরপরই একটি ঘরে পাওয়া যায় তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ। পরিবারের অভিযোগ খুন করে সাদ্দামকে ঝুলিয়ে দিয়েছে শোরুম কর্তৃপক্ষ। যদিও এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন গাড়ির শোরুমের কর্মচারীরা। তাঁদের মতে নিজেই আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক। ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় নৈহাটি থানার পুলিশ। তদন্ত চালাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।