বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের শ্লীলতাহানির ঘটনা রাজ্যে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় তোলপাড় বারাসাত (Barasat)। বুধবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে মূল অভিযুক্ত এমডি-র তৃতীয় বর্ষের ছাত্র চিকিৎসক দীননাথ কুমারকে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার এক নাবালিকার অ্যাপেনডিক্স অপারেশন হয় বারাসাত (Barasat) মেডিক্যালে। অভিযোগ, অপারেশনের সময়ই সেই নাবালিকার শ্লীলতাহানি করেন চিকিৎসক দীননাথ কুমার। প্রথমে ভয়ে মুখ খুলতে না পারলেও পরে পরিবারের সদস্যদের কাছে সব জানান ওই নাবালিকা। পরিবার তখনই লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বারাসত থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত চিকিৎসককে।
জানা গিয়েছে, ধৃত দীননাথ কুমার বিহারের বাসিন্দা। চিকিৎসাশিক্ষার জন্য তিনি বারাসাত বয়েজ হস্টেলে থাকতেন। বারাসাত (Barasat) মেডিক্যাল কলেজের অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট সুব্রত মণ্ডল বলেন, “পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত চলছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পকসো ধারায় মামলা রুজু, কড়া তদন্তে পুলিশ
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার প্রতিটি দিক সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করা হচ্ছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকেও সহযোগিতা করা হচ্ছে পুলিশকে।

নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত চিকিৎসকের কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, “মানুষজন বিপদে পড়ে চিকিৎসকের উপর ভরসা রাখেন। কিন্তু যদি সেই চিকিৎসকই অপরাধী হন, তবে সমাজের আস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে।” ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বারাসাত (Barasat) মেডিক্যাল কলেজ ও আশপাশে। চিকিৎসা পরিষেবার নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।












