দুবাই-কুয়েতে বাড়ছে গোবিন্দ ভোগ চালের চাহিদা, লাভের আশায় ধান চাষীরা

Published on:

Published on:

Bardhaman demand for Govinda Bhog rice is increasing in Dubai and Kuwait rice farmers are hoping for profit

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার সুদিনের মুখ দেখলো ধান চাষীরা। দুবাই ও কুয়েতে বাড়ছে বিরিয়ানির চাহিদা‌। এর ফলে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে গোবিন্দভোগ চাল আমদানি করছে এই দেশ। এই আমদানির ফলে হাসি ফুটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Bardhaman) দক্ষিন দামোদরের চাষিদের।

গোবিন্দভোগ চালের চাষে আশার আলো দেখছেন পূর্ব বর্ধমানের চাষীরা (Bardhaman)

এবার আশার আলো দেখছেন পূর্ব বর্ধমানের (Bardhaman) চাষীরা। সূত্রের খবর, এই বছর সুগন্ধি ধানের দাম পাচ্ছেন। পাশাপাশি প্রায় ১৩ হাজার কুইন্টাল ধান বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি কেজি চালের দাম প্রায় ২০০ টাকা করে পড়ছে। আর এই সুগন্ধি চাল বেশি রপ্তানি হয় দুবাই ও কুয়েতে। কারণ এইসব দেশগুলিতে এই চালের বিরিয়ানি খাওয়া হয়। পাশাপাশি চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে বিরিয়ানির দামও।

চাষীদের মতে, আগের বছর এই সুগন্ধি ধানের (Rice) চাষ কম হয়েছিল। যার কারনে ধানের অগ্নি মূল্য হয়। এ বছরও এই সুগন্ধি ধানের (Gobindo Bhog) চাষ ধাক্কা খেয়েছে। অত্যাধিক বৃষ্টির ফলে জমিতে জল জমে থাকায় ধান গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। এছাড়াও বীজের সংকট থাকায় সব জমিতে ধান রোপন করা যাবে কিনা সে বিষয়েও চাষিরা সংশয় বোধ রাখছেন।

Bardhaman demand for Govinda Bhog rice is increasing in Dubai and Kuwait rice farmers are hoping for profit

আরও পড়ুন: ঝাল বা ঝোল নয়! একদম ভিন্নস্বাদের ডিমের এই পদটি রান্না করুন, রইল সহজ রেসিপি

যদিও এই বিষয়ে, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বলেন, কৃষি ফার্ম থেকে চাষিদের বীজ সরবরাহ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এছাড়াও কৃষিদফতর থেকে জানানো হয়েছে, এরাজ্যে ৯০ হাজার থেকে এক লক্ষ হেক্টর জমিতে গোবিন্দভোগ ধান চাষ হয়।

এছাড়াও পূর্ব বর্ধমানেই ২২ থেকে ২৪ হাজার হেক্টর। এছাড়া মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় এই ধানের চাষ করা হয়। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান কেরল বা অন্য রাজ্যে এই গোবিন্দভোগ চাল থেকে পায়েস তৈরি হয়। আমাদের রাজ্যেও অনেকে পায়েস করার জন্য চাল কেনেন। কিন্তু দুবাই, কুয়েতের মতো দেশগুলিতে এই চাল থেকে বিরিয়ানি তৈরি হয়। তাই এই চালের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে।