বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election) পূর্বে জনসংযোগ বাড়াতে তৃণমূল সুপ্রিমোর নয়া প্রয়াস ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kavach) কর্মসূচি। এবার সেই সুরক্ষা কবচ কর্মসূচী পালনে জেলায়-জেলায় আম-জনতার দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) হিসাবে তৃণমূল (Trinamool) নেতা-কর্মীরা থেকে শুরু করে মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কেরা। তাতেই একের পর এক বিপত্তি। এবার ফের হাসনাবাদে দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রামবাসীর বিক্ষোভের মুখে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন তৃণমূল নেতারা।
এদিনের ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাটে (Basirhat)। এদিন সেখানে ‘দিদির দূত’ রূপে মুশকিল আসানে গিয়েছিলেন মিনাখাঁর (Minakha) বিধায়িক ঊষা রানি মণ্ডল, মিনাখাঁ বিধানসভার চেয়ারম্যান মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল ও হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এস্কেন্দার গাজি। তবে সেখানে গিয়েই এলাকাবাসীর রোষের মুখে পড়লেন তাঁরা। অভিযোগ, বসিরহাট উত্তর বিধানসভার আমলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুরে দিদির দূত জনসংযোগ কর্মসূচিতে যেতেই তাঁদের আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা। তারপর প্রায় আধ ঘন্টা ধরে তাঁদের ঘিরে চলে জোর বিক্ষোভ ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, “দীর্ঘদিন বসিরহাট উত্তরের বিধায়ক রফিকুল ইসলাম মণ্ডল এলাকায় আসেন না। কোনও খোঁজ খবর নেন না। বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প থেকে বঞ্চিত তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার বেহাল দশা। তবে বিধায়ককে এই বিষয়ে বারংবার জানানোর পরও কোনো সুরাহা হয়নি বলেই তাঁদের অভিযো।” এসব অভিযোগ তুলেই এদিন দিদির দূতদের বিরুদ্ধে সরব হন গ্রামবাসীরা।
বিক্ষোভের মুখে পরে মিনাখাঁর বিধায়িক ঊষারানি মণ্ডল তাঁদের সকল সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে তিঁনি বলেন , “আর কতটুকু দরকার? সব আমাদের বিস্তারিত বলুন। আগামী দিনে আপনাদের সমস্যার সমাধান হবে।”