বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাস্তুশাস্ত্র হলো আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রগুলির মধ্যে একটি। জ্যোতিষ শাস্ত্রকে যেমন বেদের চোখ বলা হয় ঠিক তেমনই বাস্তুশাস্ত্র হলো একরকমের এনার্জি ম্যানেজমেন্ট। প্রকৃতি আমাদের এনার্জি দেওয়ার জন্য সব সময়ই প্রস্তুত থাকে। প্রকৃতি বলতে বোঝায় জল, বায়ু, শষ্য ইত্যাদি। আর তাই আপনিও যদি চান পজেটিভ এনার্জি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদের ব্যাস্তশাস্ত্রকে অনুসরণ করতে হবে।
পজিটিভ এনার্জি কী?
আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে পজিটিভ এনার্জিটা ঠিক কী? আমরা দিনকে পজিটিভ ও রাতকে নেগেটিভ এনার্জি বলে থাকি। সুগন্ধকে যেমন পজিটিভ বলা হয়, ঠিক তেমনই দুর্গন্ধকে বলা হয় নেগেটিভ এনার্জি। এবার আসা যাক কেনই বা এই দিন ও সুগন্ধকে পজিটিভ এনার্জি বলা হয়? আসলে দিনকে পজিটিভ এনার্জি বলা হয় কারন সূর্য আমাদের কেবলমাত্র আলোই নয়, আমাদের জীবনেরও উৎস। সূর্য না থাকলে এই সৃষ্টি হতো না।আর তাই আমরা সূর্যকে দেবতাজ্ঞান পুজো করা হয়। এদিকে আমরা সুগন্ধকে বলছি পজিটিভ এনার্জি। কারণ সুগন্ধকে আমরা দেখতে পারিনা। কিন্তু অনুভব করতে পারি বায়ুর মাধ্যমে। এই বায়ু কিন্ত ত্বরানিত্ব হয় পৃথিবীর চুম্বকেত্বের কারণেই।
বাস্তুশাস্ত্র কী?
বাস্তুশাস্ত্র আসলে আমাদের দশ দিক অর্থাৎ উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর -পূর্ব কোন, দক্ষিণ -পূর্ব কোন, উত্তর – পশ্চিম কোন, দক্ষিণ -পশ্চিম কোন, আকাশ ও পাতালকে মাথায় রেখে আমরা জমি, বাড়ি,অফিস, ফ্যাক্টরি ইত্যাদির সঠিক সহাবস্থান যে শাস্ত্রে থাকে তাই হল বাস্তুশাস্ত্র। আপনার বাড়িতে ঠাকুর ঘর, রান্না ঘর, বেডরুম, টয়লেট ইত্যাদি কোন দিকে করলে আপনার বাড়িতে ম্যাক্সিমাম পজিটিভ এনার্জি কাজ করে বাস্ত্রশাস্ত্র তাকেই নির্দিষ্ট করে। অর্থাৎ বাস্তুশাস্ত্র হল আমাদের প্রাচীন সিভিল ও আরকিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং। আর আপনার বাড়িতে যদি ম্যাক্সিমাম পজিটিভ এনার্জি সৃষ্টি করতে পারেন, তাহলে আপনার স্বাস্থ্য ও মন দুটোই থাকবে তরতাজা ও প্রাণবন্ত। কারণ আমরা জানি ‘হেলথ ইস ওয়েলথ’ অর্থাৎ ‘স্বাস্থ্যই সম্পদ’।
আর তাই আমার স্লোগান হলো ‘Health, Happiness & Prosperity is not by chance it can be chosen, so minding ur body & mending ur mind.
Hari om Hari om.
বিশেষজ্ঞ : Pandit Shri Kalpataru
যোগাযোগ : 9062068595/7003191678