বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিনের পর দিন চিনের (China) কোভিড পরিস্থিতি (Covid Situation) আরও উদ্বেগপূর্ণ হয়ে উঠছে । নতুন রেকর্ড গড়ে রবিবার চিনে এক দিনে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার ৩৪৭ জন। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে জিনপিং সরকার, আর সরকারের এই বন্দিদশা নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন চিনের সাধারণ নাগরিক।
রবিবার সরকারের ‘কোভিড-শূন্য’ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজপথে নেমেছিলেন দেশের বহু নাগরিক । জিনপিং এর বিরুদ্ধে কাতারে কাতারে পথে নেমেছেন মানুষজন । চিনা সরকারের কড়া কোভিডবিধির বিরুদ্ধে তাদের বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র দেশজুড়ে। এদিন স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলনে শাংহাইয়ের রাস্তায় স্লোগান ওঠে, ‘‘শি জিনপিং, ইস্তফা দিন।’’
অন্যদিকে রবিবার এই ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে বেজিং ( Beijing ) এবং শাংহাইয়ের (Shanghai) গিয়েছিলেন বিবিসি-র (BBC) এক সাংবাদিক (Journalist )। রবিবার বিবিসি-র তরফে দাবি করা হয়েছে, সেখানেই তাকে শাংহাই থেকে গ্রেফতার করে চিনের পুলিশ। এমনকি কর্তব্যরত ওই সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
বিবিসি-র তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, ‘‘বিবিসি-র সাংবাদিক এড লরেন্সের সঙ্গে চিনা পুলিশের আচরণ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। শাংহাইতে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে পুলিশ বাধা দেয়। হাতকড়া পরিয়ে সাংবাদিককে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’
বিবিসি আরও অভিযোগ করে, গ্রেফতারের পর দীর্ঘক্ষণ আটক করে রাখা হয়েছিল ওই সাংবাদিককে। পুলিশি হেফাজতে তাকে লাথি, চড়-থাপ্পড়ও মারা হয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা পর সাংবাদিককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরই মাঝে গত বৃহস্পতিবার চিনের উরুমকি শহরে হটাৎই ঘটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। স্থানীয়দের অভিযোগ জিনপিং সকারের শূন্য কোভিড নীতি উরুমকির আগুন নেভানোর কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বেজিং শহরের একটি নদীর ধারে প্রায় ৪০০ জন মানুষ দীর্ঘ বিক্ষোভ দেখান বলে জানা গিয়েছে। এককথায় একের পর এক বিধ্বংশী ঘটনায় রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা ধারণ করেছে চিনা মাটি।