বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এক দিকে যেমন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন বিরাট কোহলি, তেমনই মেয়াদ শেষ করে সরে যাচ্ছেন কোচ রবি শাস্ত্রীও। ইতিমধ্যেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন আর ভারতীয় দলের কোচ হতে চান না তিনি। আর তাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, পরবর্তী কোচ কে হবেন? যে ক’টি নাম হাওয়ায় ভাসছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। কিন্তু দ্রাবিড় ইতিমধ্যেই এনসিএ প্রধান হিসেবে ফের আবেদন জানিয়েছেন যার জেরে দৌড় থেকে তিনি যে সরে গিয়েছেন তা বলাই বাহুল্য।
নাম ভাসছিল ভিভিএস লক্ষণ এবং অনিল কুম্বলেরও। বিসিসিআইয়ের এক সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভিভিএস লক্ষ্মণকে নিয়ে এই মুহূর্তে তেমন ভাবছে না বিসিসিআই। অন্যদিকে অনিল কুম্বলের সঙ্গে বিরাট কোহলির বিরোধের কথা কমবেশি সকলেই জানেন। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর সেই কারণেই কার্যত নীরবে কোচের দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছিলেন কুম্বলে। এখন ফের একবার তাকে ফিরিয়ে আনার কথা ভাবা হলেও বিসিসিআইয়ের সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী ছাড়া বিসিসিআইয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা কম্বলের কোচিংয়ে সেভাবে খুশি নন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে এই মুহূর্তে কোচিং করছেন অনিল কুম্বলে। সেখানে তার পারফরম্যান্স ততখানি ভালো নয়। আর সেই কারণেই এবার তার দিকে তাকাতে নারাজ বিসিসিআই কর্মকর্তারা। কিন্তু সৌরভের কথার প্রভাব হয়ত বা খাটতে পারত যদি অনিল কুম্বলে রাজি থাকতেন। বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, অনিল কুম্বলেও কোচ পদে ফিরতে খুব একটা আগ্রহী নন।
সেই কারণেই এবার সম্ভবত বিদেশি কোচের দিকে তাকাতে চলেছে বিসিসিআই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গ্রেগ চ্যাপেল ছাড়া বাকি বিদেশি কোচদের সঙ্গে মোটামুটি ভালোই কেটেছে ভারতের সফর। ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে বড় সফলতা এনে দিয়েছিলেন জন রাইট। একই সঙ্গে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জেতার সময় ভারতের কোচ ছিলেন গ্যারি কাস্টেন। এছাড়া ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল অবধি ডানকান ফ্লেচারের আমলেও ভালোই পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে ভারত। তাই ফের একবার বিদেশি কোচের দিকেও তাকাতে পারে বিসিসিআই। জানা গিয়েছে ভারতীয় দলের প্রধান কোচ পদের জন্য আবেদন করতে পারেন ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোরও।