বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের একবার সন্ত্রাসীদের কারণে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীর উপত্যকা। চলছে নির্বিচারে টার্গেট কিলিং। ইতিমধ্যেই বেশকিছু সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এই হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের হাতে। যা নিয়ে এই মুহূর্তে যথেষ্ট শোরগোল পড়ে গিয়েছে সমস্ত মহলে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যে রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। অনেক ব্যবসায়ী ইতিমধ্যেই কাশ্মীর ছেড়ে পালিয়ে আসতেও শুরু করেছেন। বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তথা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হামলার ঘটনায় এত বেশি যে সৃষ্টি হয়েছে রীতিমত আতঙ্কের বাতাবরণ।
কাশ্মীরে এধরনের উত্তেজনা তৈরি করার নেপথ্যে পাকিস্তানের হাত আছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।তাছাড়া কয়েকদিনের সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যু হয়েছে বেশকিছু জওয়ানেরও। আর সেই কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত পাক ম্যাচের আগে দাবি উঠছে এই ম্যাচ রদ করার। ২৪ অক্টোবর এই ম্যাচের মধ্যে দিয়ে বিশ্বকাপ সফর শুরু করতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান দুই দলই। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই এখন সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে, কারণ প্রায় দু বছর বাদে মুখোমুখি হচ্ছে ক্রিকেটের এই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। কিন্তু কাশ্মীরের এই পরিস্থিতিতে ম্যাচ খেলা আদৌ কি সম্ভব? এবার এই প্রসঙ্গে বড় আপডেট দিল বিসিসিআই।
বিসিসিআই তরফে সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমরা জম্মু -কাশ্মীরে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যতদূর ভারত এবং পাকিস্তানের ম্যাচের কথা, আইসিসির আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের কারণে আমরা খেলতে অস্বীকার করতে পারি না।” তিনি আরও জানান আইসিসি টুর্নামেন্ট প্রোটোকল অনুযায়ী, কোন দলই অন্যজনের সাথে খেলতে অস্বীকার করতে পারে না। আর সেই কারণেই ম্যাচ রদ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভারত-পাকিস্তান মহাযুদ্ধ নিয়ে ইতিমধ্যে বয়ান দিতে শুরু করেছেন দুই দেশের প্রাক্তন খেলোয়াড়রা। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই যদিও এগিয়ে রাখছেন ভারতকেই। কারণ এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপের রেকর্ড দেখতে হলে এক ডজন বার পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। অন্যদিকে একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি পাকিস্তান। যদিও খেলার ফলাফল ঠিক কি হবে তার উত্তর দেবে ২৪ অক্টোবরই।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সম্ভাব্য একাদশঃ
কে এল রাহুল, রোহিত শর্মা (সহ-অধিনায়ক), বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), ইশান কিশান, ঋষভ পন্থ (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, আর অশ্বিন, শার্দুল ঠাকুর, জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি।