বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হকি ফুটবলের মত দীর্ঘসময়ের খেলাগুলি অলিম্পিকে সুযোগ পেলেও এখনও পর্যন্ত অলিম্পিকে নেই ক্রিকেটের নাম। যদিও ২০২২ সালে কমনওয়েলথ এবং এশিয়ান গেমসে থাকছে ক্রিকেট। কমনওয়েলথে যদিও বা খেলবে শুধুমাত্র মহিলা দলই। কিন্তু ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করতে তাকে অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা এই প্রথম নয়, এর আগেও বারবার উঠেছে এই প্রসঙ্গ। আইসিসির যথেষ্ট ইচ্ছা থাকলেও মূলত পিছিয়ে গিয়েছে বিসিসিআই-ই।
জানা গিয়েছে এবার অলিম্পিকে ক্রিকেটের জন্য গ্রিন সিগন্যাল দিতে চলেছে সৌরভ গাঙ্গুলী নেতৃত্বাধীন বিসিসিআই। সূত্রের খবর অনুযায়ী এপ্রিলে বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সেলিরের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে। যদি ভারতের অলিম্পিকস কমিটি এ বিষয়ে আলাদাভাবে নাক না গলায়, জানা গিয়েছে তাহলে খেলতে কোন আপত্তি নেই ভারতের। ক্রিকেটের স্বার্থে সরকার এবং আইওএ বা ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেও রাজি বিসিসিআই। তাই কিছুটা গ্রিন সিগন্যাল যে মিলেছে তা বলাই বাহুল্য।
যদিও পরের অলিম্পিকসে অর্থাৎ ২০২৪ সালে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিককেই টার্গেট করছে আইসিসি এবং ভারতীয় বোর্ড। সচিব জয় শাহ জানিয়েছেন, এই প্রচেষ্টায় মুখ্য ভূমিকা নিতে চলেছে ভারত। অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হলে ভারতের পুরুষ এবং মহিলা দলও তাতে অংশ নেবে। এই বিষয়ে সহমত আইসিসি এবং বিসিসিআই।
একথা ঠিক যে ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলা সম্ভব নয়। তাই বেশিরভাগ ভোট পড়েছে টি-টোয়েন্টির দিকেই, টি-টেন টুর্নামেন্টের দিকেও ভোট দিয়েছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভারতীয় বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগও তার এক বক্তব্যে জানিয়েছিলেন, অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে টি-টেন টুর্নামেন্টই সবচেয়ে আদর্শ। তবে আপাতত কুড়ি ওভারের খেলার কথাই ভাবা হচ্ছে বেশি। যদিও সাত বছর বাদে অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হলে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মত অনেকেই হয়তো বা প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন না। সেক্ষেত্রে হয়তো রিলে রেসের ব্যাটন থাকবে ঋষভ পান্থদের হাতে।