বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড়সড় খবর সামনে এসেছে। এমনিতেই ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথা তো এখন প্রায় সকলেরই জানা। এমনকি, সেখানকার পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে পড়েছে যে রীতিমতো ঋণের ওপর নির্ভর করছে ওই দেশ। তবে, এবার অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ল ভারতের আরেক পড়শি দেশ চিনেরও (China)।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার চিনের অর্থনীতি বড়সড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে। শুধু তাই নয়, গরিব দেশগুলিকে ঋণের জালে আটকে রেখে সেগুলির ওপর প্রভাব বিস্তারের মতলবে থাকা বেজিংয়ের অর্থনীতি যে কখন তলিয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসে ঠেকেছে তা কেউ ধরতেই পারেনি। এমতাবস্থায়, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চিনের অর্থনীতিতে ডিফ্লেশনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যা পুরো বিশ্বকে প্রভাবিত করতে পারে।
টালমাটাল অর্থনীতি: জানা গিয়েছে, এই কারণে মুদ্রাস্ফীতি কমার পর সেখানে সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেলেও অন্যদিকে দেখা দিয়েছে নতুন সঙ্কট। মূলত, জুলাই মাসে চিনে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) এবং প্রোডিউসার প্রাইস ইনডেক্সে (PPI) বড় ধরণের পতন ঘটেছে। যার ফলে “ডিফ্লেশন”-এর ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় জুলাই মাসে চিনে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সে ০.৩ শতাংশের বড় পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিকে, ডিফ্লেশনের আশঙ্কার মধ্যেই চিনে শুকরের মাংসের দাম ২৬ শতাংশ এবং সবজির দাম ১.৫ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি, অনেক পণ্যই সস্তা হয়ে গেছে। এছাড়াও, প্রোডিউসার প্রাইস ইনডেক্স গত জুলাই মাসে এক বছরের আগের তুলনায় ৪.৪ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: ফাঁস হয়ে গেল ধুর্তামি! যোগ্য জবাব দিতে চিনকে বড় ধাক্কা দিল এই দেশ
ডিফ্লেশন: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ডিফ্লেশন হল পণ্য ও পরিষেবার দামের একটি সাধারণ পতন। অর্থনীতির দিক থেকে যখন মুদ্রাস্ফীতির হার শূন্য শতাংশের নিচে চলে যায় তখন সেটিকে ডিফ্লেশন বলা হয়। প্রচলিত ভাষায়, মুদ্রাস্ফীতির দ্রুত পতনকে বলা হয় ডিফ্লেশন। এমতাবস্থায়, গ্রাহকরা সস্তায় জিনিসপত্র কিনতে পারলেও এটি ব্যবসাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে এবং কোম্পানিগুলির লাভের মার্জিন হ্রাস হয়ে যায়। এদিকে, এর প্রধান কারণ হল বাজারে পণ্যের অতিরিক্ত পরিমাণ হওয়া সত্বেও ক্রেতার কম সংখ্যা। চাহিদা ও সরবরাহের পার্থক্যের কারণে এহেন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: অপ্রতিরোধ্য ভারত! আর্থিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে চিনকে হারিয়ে দিয়ে এবার এই বিরাট তকমা পেল দেশ
বিশ্বে কি কোনো প্রভাব পড়বে: ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে ব্লুমবার্গ থেকে শুরু করে সিএনএন-এর প্রতিবেদনে চিনের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ, চিন হল একটি বড় বাজার। এদিকে, একটি রিসার্চ নোটে, ING গ্রুপের বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে, সম্মিলিত উপভোক্তা ও উৎপাদকের তরফে ডিফ্লেশনের বিষয়টিকে চিনে সামগ্রিক অর্থনৈতিক মন্দার ধারণাকে সমর্থন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই চিনের প্রোপার্টি মার্কেটে মন্দার পরিবেশ বিরাজ করছে। পাশাপাশি, সমস্যায় পড়েছে শিক্ষা সহ একাধিক ক্ষেত্র।