জাঁকিয়ে শীত তো পড়েই গেছে, তার মধ্যে হরেক সবজি, ফল না খেলে তো চলেই না। শীতকাল বলতে আমাদের মাথায় আসে কমলালেবু, সবেদা, বেদনা, পেয়ারা, আঙুর, পানিফল, কুল, লেবু আরও কত কি… তাই শীতকাল শরীরের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে ফলের কোনো তুলনা হয়না। প্রতিদিন দুপুরে খাওয়ার পর নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে।
তবে এই অভ্যাস খারাপ নয় বরং ভালো। একগাদা ভাত না খেয়ে কম ভাত খেয়ে ফল খেলে শরীরে প্রোটিন আর ভিটামিনের চাহিদা মিটবে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।ফলের উপকারিতা অনেক যেহেতু ফল আমরা কাঁচা খেতে পারি সেক্ষেত্রে ফলের গুন নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকেনা। ফলের মধ্যে থাকা খাদ্যগুন আমাদের শরীরে শক্তি গড়ে তোলে।
এইসব ফলের মধ্যে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি মানবদেহে শক্তি যোগায়. ভিটামিন সি তো অনেক ক্ষেত্রে আমাদের জ্বর সর্দি কাঁশি এসব থেকে আমাদের সুরক্ষা করে। আর ভিটামিন এ ত্বকের ক্ষেত্রে অনেক উপকারী। বিশেষত যারা নিরামিষাশী তারা মাছ মাংস ডিম না খেলেও রোজ নিয়ম করে যদি ফল খান তবে তা শরীরের উপকার করে।
সকালে জল খাবারের সময় অনেক ক্ষেত্রে রুটি বা কর্নফ্লেক্স এসব খাওয়ার পর শেষপাতে ড্ৰাই ফ্রুট খেতে অসুবিধা নেই। তবে যদি কারো শারীরিক সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে তাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাওয়া উচিৎ। কারো ক্ষেত্রে ফল খেতে ভালো না লাগলে তারা ফল পিষে জুস্ বানিয়ে খেতে ভালো লাগবে। কিন্তু ফলের রসে চিনি মেশালে তার উপকারিতা আর থাকেনা। আর এখন শীতকালে খাওয়ার পর দুপুরে ফ্রুট চাটনি খাওয়া যেতেই পারে. চাটনীর মধ্যে বিভিন্ন ফল দিয়ে তা খেলে তার গুন বজায় থাকে আর খেতেও দারুণ লাগে। ফল খেতে ভালোবাসা না থাকতে পারে কিন্তু ফল খেলে যে শরীর ভালো থাকবে সেটা নতুন করে বলার নেই। আর শরীরকে সুস্থ রাখতে আজ থেকেই শুরু করুন ফল খাওয়া।