বাংলা হাট ডেস্কঃ বাংলার ভোটে মারাত্মকভাবে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন জয়ের স্বপ্ন দেখলেও শেষ পর্যন্ত একশোও পেরোতে পারেনি তারা। যার ফলে এই মুহূর্তে প্রভাব পড়েছে সংগঠনেও। একুশের নির্বাচনের আগে হেস্টিংসের অফিস এবং নির্বাচনী কার্যালয় জুড়ে ছিল গেরুয়া শিবিরের শোরগোল। কিন্তু নির্বাচনের পর থেকেই ক্রমশ ফিকে হয়ে আসতে শুরু করেছে। ৩০ মে নিজেদের সপ্তম বর্ষপূর্তি করল কেন্দ্রের মোদি সরকার। সাথে সাথেই দ্বিতীয় দফার সরকারেরও পূর্ণ হল দ্বিতীয় বর্ষ। এই সূত্র ধরেই নতুন করে আবার বাংলায় কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত বিজেপি নেতারা।
নির্বাচনের পর কিছুটা অগোছালো মনে হলেও গ্রামে গ্রামে নিজেদের সংগঠনটি গুছিয়ে তুলতে ফের একবার কাজ শুরু করলেন বিজেপি নেতারা। পিছিয়ে নেই পরাজিতরাও। ৩০ মে এবং ৩১ মে প্রথম দুদিন রয়েছে প্রতিকী কর্মসূচি। আর তারপর থেকেই পুরোদমে শুরু হবে কাজ। প্রত্যেক নেতাকে নিজের এলাকার দুটি করে পঞ্চায়েত অথবা দুটি করে পুরসভা বেছে নিয়ে মানুষের সেবার কাজে ব্রতী হবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দল তরফে। রাজ্যের পুরো কর্মসূচির দায়িত্বে রয়েছেন তিন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, সৌমিত্র খাঁ এবং সুকান্ত মজুমদার।
এই মুহূর্তে দেশ জুড়ে বাড়ছে করোনা। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও৷ তার ওপর অন্যদিকে রয়েছে ইয়াস। এই দুই ভয়াবহ জোড়া ফালায় এই মুহূর্তে রীতিমতো বিধ্বস্ত বাংলার জনগণ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সরব বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, বাংলায় মমতার জয় কিছুটা অক্সিজেন যুগিয়েছে অখিলেশ যাদবদেরও। ফলে এই মুহূর্তে চিন্তা রয়েছে উত্তরপ্রদেশের ভোট নিয়েও। আর সেই কারণেই হতাশ কর্মী-সমর্থকদের ফের একবার উজ্জীবিত করতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। ইয়াসের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে যথেষ্ট তৎপর রাজ্য বিজেপি। ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষ ও অন্যান্য সাংসদদের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে কাজ। গত শুক্রবার ও শনিবার উলুবেরিয়া, কাঁথি, হলদিয়া, তমলুক, মহিষাদল, খেজুরি সহ বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিলির কাজ পরিদর্শন করেছেন দিলীপ ঘোষ। খড়গপুর ও কামারপাড়ায় কমিউনিটি কিচেনও পরিদর্শন করেন তিনি। হুগলির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দুস্থদের হাতে রান্না করা খাবারের প্যাকেট তুলে দেন পরাজিত নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। এখন আগামী দিনে এই সমস্ত পদক্ষেপ বিজেপিকে কতখানি উজ্জীবিত করে সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে।