বাংলায় নির্বাচনী দামামা বাজতেই শাসক থেকে বিরোধী দলগুলি একে অপরকে নানান অভিযোগে কোনঠাসা করে চলেছে। এরইমধ্যে বীরভূমের ইলামবাজারে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। জানা যাচ্ছে,স্থানীয় ধরমপুর অঞ্চলের নান্দার গ্রামে শাল নদীর জলে দেহ ভাসতে দেখা যায় ওই বিজেপি কর্মীর। উদ্ধারকৃত ওই কর্মীর নাম বাবু আকুড়। ২৬ বছর বয়সী বাবু ছিলেন ছিলেন ইলামবাজার বি মণ্ডলের সদস্য।
সোমবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। রাতভর খুঁজেও তাঁর হদিশ পায়নি পরিবার। মঙ্গলবার সকালের গ্রামের পাশে শাল নদীর জলে তাঁর মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। বাবুর পরিবার ও ইলামবাজার বি মণ্ডলের বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁকে। এমনকি তারা এও দাবি করেন যে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মদতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। যা ঘিরে তুমুল উত্তেজলার সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়।
যদিও এই অভিযোগ ইলামবাজার ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব একেবারে নস্যাৎ করেছে। শাসকদলের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও যোগসাজস নেই । পুলিশ তদন্ত করলেই সমস্ত কিছু বেরিয়ে আসবে বলে জানান তারা। ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছয় ইলামবাজার থানার পুলিশ বাহিনী। পেশায় রং মিস্ত্রি ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি কর্মীর এমন রহস্যমৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিজেপির জেলা সভাপতি ধুরুভ সাহা বলেন, “আমাদের এই কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূলের লোকজন। এলাকায় খুবই সক্রিয়া কর্মী ছিলেন বাবু। ভোটের মুখে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতেই তাঁকে খুন করা হয়।”
তৃণমূলের অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ফজলুল রহমান বলেন, ” যে কোনও আত্মহত্যার ঘটনাকেই রাজনীতির রং দেয় বিজেপি। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।”