উপনির্বাচনে শূন্য বিজেপি! গেরুয়া শিবিরকে সরিয়ে প্রধান বিরোধী হিসেবে উঠে এল বামেরা

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছর বিধানসভা ভোটের পর থেকে ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বিজেপি। ক্রমশ সেই ধারাই যেন অব্যাহত রয়ে চলেছে। এদিন বাংলার মোট ছয়টি উপনির্বাচন কেন্দ্রে বিজেপির ফলাফল অত্যন্ত হতাশাজনক। ছয়টি কেন্দ্রের মধ্যে এদিন তৃণমূলের দখলে যায় চারটি এবং একটি করে উপনির্বাচন কেন্দ্র নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় সিপিএম এবং কংগ্রেস। তবে বিজেপির ভাঁড়ার থাকলো শূন্য। অপরদিকে, বিরোধী আসনে বিজেপিকে সরিয়ে সিপিএমের উঠে আসা বঙ্গ রাজনীতিতে বেশ ‘প্রাসঙ্গিক’ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে এদিন ঝালদা এবং চন্দননগর ওয়ার্ডে ফলাফল ঘোষণা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে দুটি স্থানে তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করে জয়লাভ করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস।

উল্লেখ্য, কয়েক মাস পূর্বে পুরুলিয়ার ঝালদায় 2 নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস নেতা তপন কান্দু খুন হন। ফলে সেখানে কাউন্সিলর ভোট করার কথা ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে মৃত কংগ্রেস প্রার্থীর স্থানে তাঁর ভাইপো মিঠুন কান্দুকে দাঁড় করায় দল। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাঁড় করানো হয় জগন্নাথ রজককে। এক্ষেত্রে ঝালদা পুরসভায় মোট 1179 টি ভোটের মধ্যে মিঠুন কান্দুর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা 930। অপরদিকে, তৃণমূল এবং বিজেপি প্রার্থী পান যথাক্রমে 152 এবং 32 টি ভোট।

অপরদিকে, চন্দননগর 17 নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন সিপিএম নেতা অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে 32 বছর পর এই ওয়ার্ডে সিপিএমের জয়ে স্বভাবতই খুশি নেতাকর্মীরা। এই ওয়ার্ডে 130 ভোটে জয়ী হন অশোকবাবু।

অপরদিকে, দমদম উত্তর, দমদম, ভাটপাড়া এবং পানিহাটিতে খুব সহজেই জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। অবশ্য এই সকল স্থানে তৃণমূল জয়লাভ করলেও দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম, যা বিরোধী রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও 2274 ভোটে জয়লাভ করেন তৃণমূল নেত্রী মীনাক্ষী দত্ত। অপরদিকে, ভাটপাড়া থেকে তৃণমূল প্রার্থী কনকলতা দাস 410 ভোটে জয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে দমদম এবং দমদম উত্তর থেকেও জয়লাভ করেন যথাক্রমে বনশ্রী চট্টোপাধ্যায় এবং তাপস রায়। এক্ষেত্রে দুজনের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা যথাক্রমে 1483 এবং 445। তবে বাংলার ছয়টি উপনির্বাচন কেন্দ্রে একপ্রকার ধুয়ে গিয়েছে বিজেপি। এক্ষেত্রে অবশ্য রাজ্য বিজেপির গা-ছাড়া মনোভাবকেই দোষারোপ করেছে সকলে।

সম্পর্কিত খবর

X