বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) প্রক্রিয়া। লক্ষ্য একটাই সম্পূর্ণ নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করা। নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের এই বিশেষ অভিযান নিয়ে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন।
SIR নিয়ে বুধবার ফের বৈঠকে বসছেন জেলার সব অফিসাররা
কমিশনের ঘোষণার পরই বড় পদক্ষেপ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) মনোজকুমার আগরওয়াল। নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেই বিষয়ে বুধবার বৈঠক ডাকলেন তিনি। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক তথা ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার (DEO), প্রতিটি বিধানসভার ইলেকট্ররাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) এবং রাজ্যজুড়ে বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO)।
CEO দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবারের বৈঠকটি হবে ভার্চুয়াল মোডে। সেই বৈঠক থেকেই জেলা প্রশাসনের জন্য নির্দেশিকা জারি করবেন মনোজ আগরওয়াল। পাশাপাশি, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে SIR নিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ পেলেই বুধবার রাতেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে রাজ্যের প্রতিটি জেলায়। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের জন্য অতিরিক্ত কিছু বিশেষ গাইডলাইন পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
BLO-দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, নিরাপত্তা নিয়েই উঠল প্রশ্ন
SIR প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO)। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাইয়ের দায়িত্ব তাঁদেরই। আগামী ৪ নভেম্বর থেকে BLO-রা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া শুরু করবেন। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যে BLO-দের হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের একাংশের বিরুদ্ধে।
এই অভিযোগ নিয়েই মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমারকে। BLO-দের নিরাপত্তার জন্য কোনও ব্যবস্থা করা হচ্ছে কি না, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আশা করব, এরকম ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসন পদক্ষেপ করবে। আমার মনে হয় না এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে, যেখানে কমিশনকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।”

আরও পড়ুনঃ মন্ত্রীর পর এবার ব্যবসায়ীরা! কলকাতায় পুর দুর্নীতির খোঁজে ফের শুরু ইডির অভিযান, বেলেঘাটায় চাঞ্চল্য
ভোটের আগে এই নিবিড় সমীক্ষা (SIR) শুরু হওয়ায় নজর এখন বাংলার রাজনৈতিক আবহে। BLO-দের ভূমিকা, জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি এবং নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নির্দেশিকা, সব কিছু নিয়েই তৈরি হয়েছে চরম আগ্রহ। বুধবারের বৈঠকে CEO কী নির্দেশ দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি ও প্রশাসন দুই-ই।













