উদয়ন বিশ্বাস, বাংলাHunt :গতকাল মুখ্যমন্ত্রী ঘাটালে দেব এর সমর্থনে মহামিছিল করার পর তার গাড়ি যখন পাঁশকুড়া দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় কয়েকজন যুবক ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেয়। হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে যান এবং কেন ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে জানতে চায়। তখন যুবকরা পালিয়ে যায় এবং মুখ্যমন্ত্রী বলেন কেমন ভাবে গাল দিচ্ছে। এরপর রাজ্য রাজনীতি তোলপার হয়ে যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ভিডিও মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। বিজেপির পক্ষ থেকে তীব্র সমালোচনা করা হয়। বলা হয় তাহলে কি বাংলায় থাকতে গেলে আল্লাহু আকবার বলতে হবে। ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি নিয়ে আপত্তি কেন দাবি তোলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে এবং বাকি আর কারো আছে তাদের খোঁজ চলছে বলে সূত্র মারফত জানা গেছে।
এদিকে আজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি করেছেন বাংলায় কি কোন হিন্দুত্ব কথা বলা যাবেনা। গ্রামবাসীরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলেছে এতে এতো রাগ কেন। মুখ্যমন্ত্রী কে কোথায় গাল দিয়েছে তার কোন প্রমাণ নেই কিন্তু এই ঘটনার সূত্র ধরে বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে মরিয়া। তারা দাবি করছে কেন জয় শ্রীরাম বলার জন্য ৩ জন যুবককে আটক করা হলো। এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা শোনা গেছে। বিজেপি নেতা নেত্রীদের গলায় এবং আরএসএস এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ বলে মনে করা হচ্ছে। যে তিনজন আটক করা হয়েছে তাদের কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোনো পরিকল্পনা করে করা হয়েছে নাকি নেহাতই মুখ্যমন্ত্রী কে দেখে এই স্লোগান দেওয়া হলো তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন জয় শ্রীরাম বলা হয়নি তাকে গাল দেওয়া হয়েছে।
এই ভিডিও মুহুর্তের মধ্যে বিজেপি এবং হিন্দু সংগতি বা হিন্দু ধর্মের মানুষেরা ভিডিওটি ভাইরাল করে দেন। এরপর ভোটের কাল পঞ্চম দফা নির্বাচন তার আগে এইরকম ভিডিও যা রাজ্য রাজনীতি যথেষ্ট উত্তাপ বাড়াবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিশেষ করে গতকাল ব্যারাকপুর এবং ঠাকুরনগরে ভোট, সেখানে হিন্দু ভোট ভাষাভাষীর মানুষ বেশি। এই ভিডিও দেখার পর হিন্দুদের ভোট বিজেপির দিকে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে কিন্তু তৃণমূল পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কে দেখে কটুক্তি করা হচ্ছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে। এর সাথে হিন্দু ধর্মের কোন মিল নেই। কারণ তৃণমূল সকল ধর্ম সমন্বয় তারা পথ চলে, ফলে তাদেরকে সাম্প্রদায়িক তকমা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। এই দিকে বিজেপি এই ভিডিও কে হাতিয়ার করে ফের ময়দানে নেমেছে। তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে ‘জয় শ্রীরাম’ বলা কি সত্যিই অপরাধ, কারণ এখানে হিন্দি ভাষাভাষীর মানুষ বাস করে। তাহলে কেন এখানে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তোলা যাবে না। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই ঘটনায় সঙ্গে কোনো পরিকল্পনা নাকি অন্য যোগ আছে কিনা তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত বিজেপির বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে ভিডিও কে নিয়ে ভাইরাল করছে বিজেপি সমর্থকরা কারণ তারা মনে করছে এই ভিডিও মানুষের মনে যে আঘাত করে তাহলে হিন্দুত্ব ভোটকে সামনে রেখে তারা বেশ কয়েকটা আসুন জিততে পারে কিন্তু এই সবে কর্ণপাত করতে নারাজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি বলেন তিনি বার বার বলার চেষ্টা করেছেন তারা
সব ধর্ম কে সাথে নিয়ে একসাথে পথ চলতে চান এবং বাংলায় একটা সকল ধর্মের সংস্কৃতি বজায় রাখতে চান এখন দেখার বিষয় এই ভিডিওর হলে পঞ্চম দফার নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়ে কিনা কিন্তু এই ভিডিও কে হাতিয়ার করে আগামী দিনের মধ্যে রণকৌশন তৈরি করার চেষ্টা করছে