যোগীরাজ্যে তদন্তে গিয়ে চরম হেনস্থার শিকার বাংলার পুলিশ, ঘিরে মারধর করার অভিযোগ

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বাংলার পুলিশের অফিসাররা। ২০১৭ সালের একটি মামলার পরিপেক্ষিতে উত্তর প্রদেশে গিয়েছিলেন সিআইডি-র একটি দল। আর সেখানে গিয়েই হেনস্থার শিকার হতে হয় তাঁদের।

২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশের এক বিজেপির নেতা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথার দাম ১১ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা কেটে আনতে পারলে, তাঁকে সেই পুরস্কার দেওয়া হবে। বিজেপির ওই নেতা যোগেশ ভার্সনের মামলার তদন্তে বা তাঁকে গ্রেফতারের জন্যই যোগীরাজ্যে গিয়েছিল সিআইডি-র দল।

৪ বছর আগের মামলায় আচমকাই তৎপর হয় বাংলার পুলিশ। আর সেই কারণেই তাঁরা উত্তরপ্রদেশের আলীগড়ে ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে যান। সেখানে তাঁরা যাওয়া মাত্রই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিজেপির কর্মীরা তাঁদের ঘিরে ফেলে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তোলা হয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের পক্ষ থেকে।

শুক্রবার আচমকাই বাংলার পুলিশ সাদা পোশাকে আলীগড়ে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা যোগেশের বাড়িতে পৌঁছে যায়। এরপরই তাঁদের ঘিরে ফেলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির কর্মীদের বিরুদ্ধে। আলীগড় পুলিশ তাঁদের কোনওমতে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় বিজেপির নেতারা দু’জন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার আর বাড়িতে ঢুকে হুজ্জুতি করার অভিযোগ তুলেছে।

এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে আলীগড়ের বিধান পরিষদের সদস্য মানবেন্দ্র প্রতাপ সিং বলেন, আচমকাই কাউকে কিছু না জানিয়েই পুলিশ যোগেশের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ওরা সাদা পোশাকে এসেছিল। আলীগড় থানার পুলিশ জানিয়েছে ওদের ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওখানে। যারা যোগেশের বাড়িতে গিয়ে এমন হুজ্জুতি করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।

X