বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোটাতে অনেকেরই ভরসা রেশন। সেখান থেকে যে খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে বহু মানুষের। এদিকে অনেকেই হয়তো জানেন, রেশন ব্যবস্থায় গ্রাহকদের চাল দেওয়ার জন্য চাষিদের থেকে ধান নেয় রাজ্য (Government of West Bengal)। এরপর নানান চালকলের সঙ্গে চুক্তি করে তা ভাঙানো হয়। সবশেষে তা রেশন দোকানের মাধ্যমে গ্রাহকদের দেওয়া হয়। তবে এবার এই নিয়েই সামনে আসছে বড় খবর!
রাজ্যের (Government of West Bengal) সঙ্গে চুক্তিতে নারাজ চালকল মালিকরা!
জানা যাচ্ছে, সময় পেরিয়ে গেলেও এই বছর কোনও চালকলই (Rice Mills) রাজ্যের সঙ্গে চুক্তি করেনি। চালকল মালিকদের তরফ থেকে বেশ কিছু দাবি উঠছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন বেঙ্গল রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক।
এই প্রসঙ্গে আব্দুল মালেক বলেন, এতদিন ধরে রাজ্যের (Government of West Bengal) সামনে তাঁরা যে সকল দাবি তুলে এসেছেন সম্পূর্ণটাই ন্যায্য। গত বছর ২৫ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির পরিবর্তে খাদ্য দপ্তরের তরফ থেকে ১ কোটি টাকার ধান দেওয়া হয়েছিল। তবে চলতি বছর আচমকাই সেই অঙ্কটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে ৪০ লক্ষ টাকা এবং এরপর তা ৩৫ লক্ষ টাকা করে দেয় রাজ্য।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়? আদালতে CBI যা দাবি করল … ফাঁস হতেই তোলপাড়!
পরবর্তীতে একটি নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়, ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যারা চুক্তি করাবেন, শুধুমাত্র তাঁরাই ৩৫ লক্ষ টাকার এই সুবিধা পাবেন। বাকিদের ৪০ লক্ষ টাকাই লাগবে। একইসঙ্গে ধান থেকে চাল তৈরির ক্ষেত্রে মিলিং চার্জ নিয়েও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে চালকল মালিকদের।
অভিযোগ, ২০১৬ সাল থেকে মিলিং চার্জ একই রয়েছে। অন্যান্য রাজ্যে সময়ের সঙ্গে এই অঙ্কে পরিবর্তন এসেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ বিগত ৮ বছর ধরে ৩০ টাকাই দিয়ে আসছে। তবে এবার অন্তত ৬০ টাকা না দিলে চালকল মালিকরা চুক্তিতে আগ্রহী নন বলে খবর। নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে গত সপ্তাহে এমন দাবি তোলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ (Government of West Bengal)। তিনি বলেন, ‘মিলিং চার্জ বৃদ্ধি করার বিষয়টি রাজ্যের অর্থ দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির টাকাও ৩৫ লক্ষ টাকা থেকে ৩০ লক্ষ টাকায় নামানো হয়েছে। বাকি যা যা অসুবিধা রয়েছে, তা আলোচনা করে সমাধান করে নেওয়া হবে’।