বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে সংবাদের শিরোনামে রয়েছে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (Bengal SSC Recruitment Scam Case)। গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালে SSC-র সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে কলকাতা হাই কোর্ট। যার জেরে এক ধাক্কায় চাকরি হারান প্রায় ২৬,০০০ প্রার্থী। আপাতত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁদের চাকরি বহাল থাকলেও চিন্তা কমছে না! এই আবহে শনিবার ২০১৬ সালে SSC-তে নিযুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল।
আজ ‘যোগ্য’ প্রার্থীরা স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission), মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং বিকাশ ভবন অভিযানে নামে। নানান জেলা থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে জড়ো হন। এরপর মিছিল করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দিকে এগোতে শুরু করেন। তখনই তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় বলে অভিযোগ। এরপর পুলিশ ৭জন শিক্ষককে আটক করে।
পরে অবশ্য শিক্ষকদের কয়েকজন প্রতিনিধিকে স্কুল সার্ভিস কমিশন দফতর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) এবং বিকাশ ভবনে (Bikash Bhavan) যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ। আজ সল্টলেকে ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ২০১৬ অধিকার মঞ্চ’-এর পক্ষ থেকে বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, ‘SSC অফিসে গিয়ে আমরা দাবি জানিয়েছি, আগামী ১৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য এবং অযোগ্যদের মধ্যে বিভাজনের তালিকা দিতে হবে’।
আরও পড়ুনঃ শাহজাহানের হাত থেকে রেহাই পায়নি ইটভাটাও! নিম্ন মানের কয়লা দিয়ে … এবার সব ফাঁস করল ED!
বৃন্দাবন বলেন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং বিকাশ ভবনে গিয়ে তাঁরা দাবি জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে নিযুক্ত অযোগ্য শিক্ষকরা যাতে মুচলেকা দেন, স্কুলশিক্ষা দফতরকে সেই বিষয়ে নির্দেশ দিতে হবে। বৃন্দাবন বলেন, ‘শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পরিষ্কার বলা আছে, যে সকল প্রার্থীর নিয়োগ কেবলমাত্র তাঁদের মুচলেকা দিতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের কোনও রকম মুচলেকা দিতে হবে না’।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ SSC প্যানেল বাতিলের রায় দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাদের তরফ থেকে জানানো হয়, ৫২৫০ জনের অবৈধ নিয়োগের কথা আগেই হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ প্যানেল কেন বাতিল হল? শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে আপাতত হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এখনই চাকরি হারাচ্ছেন না কেউ। আগামী ১৬ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।