বাংলাহান্ট ডেস্ক: মুক্তি পেয়েছে পাঠান (Pathan)। বছর চারেক পর বড়পর্দায় কামব্যাক শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan)। তাই নিয়েই উৎসবের মেজাজ দেশ জুড়ে। কলকাতাও ব্যতিক্রমী নয়। ছবির বিরুদ্ধে কোনো রকম বিক্ষোভ হয়নি শহরে। কিন্তু দেখা দিয়েছে অন্য রকম সমস্যা এবং তা গুরুতরও বটে। শাহরুখের ছবির জন্য সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলা ছবি। বিষয়টা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য (Saheb Bhattacharya)।
ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় বিরক্তি, রাগ উপচে পড়েছে সাহেবের প্রত্যেকটা কথায়। আগামী ৩ রা ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি ‘আরো এক পৃথিবী’। ছবিতে অভিনয় করেছেন পরিচালক অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ও। সম্প্রতি সেই ছবিরই সাংবাদিক সম্মেলনে এক বিষ্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেন তিনি, যা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সাহেব।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত এবং অভিনীত ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ মুক্তি পেয়েছে দিন কয়েক আগে, একথা অনেকেই জানেন। প্রথম দিন থেকেই ভাল সাড়া পেয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেন অভিনীত ছবিটি। প্রতিটি শো হাউজফুল যাচ্ছে। কিন্তু পাঠান মুক্তির আগের দিন সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের তরফে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁর ছবির জন্য মাত্র একটি শো-ই দেওয়া যাবে।
সাহেব বলেন, সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য যে হলে পাঠান চলবে সেখানে অন্য কোনো ছবি চালানো যাবে না, সে যতই হাউজফুল শো দিক না কেন। শ্রোতাদের উদ্দেশে সাহেবের প্রশ্ন, বাংলায় বাংলা ছবিই চলতে দেওয়া হচ্ছে না। এই একই ঘটনা পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, হায়দ্রাবাদে করা যাবে?
ক্ষোভ, হতাশা উগরে দিয়ে অভিনেতা বলেন, বাঙালি অতিরিক্ত ভদ্রতা দেখিয়ে এখন ক্রমেই মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়ছে। নয়তো বান্দ্রার অফিসে বসে প্রযোজকরা ঠিক করে দিতে পারতেন না বাংলায় কোন ছবি চলবে আর কোনটা চলবে না। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, দর্শকরা অভিযোগ করেন যে ভাল বাংলা ছবি আসে না। কিন্তু ভাল ছবি আসলেও চলতে দেওয়া হয় না।
সাহেবের যুক্তি, পাঠান মুক্তি পেয়েছে প্রায় ৭ হাজার হলে। এদিকে বাংলা ছবি পায় ১০০-র কম হল। তার মধ্যেও যদি কেটেছেঁটে ৫-৬ টা শো পায় তাহলে ব্যবসা হবে কীকরে? ক্ষুব্ধ সাহেব প্রশাসনকেও দায়ী করতে ছাড়েননি। বাঙালি সব মেনে নিতে শুরু করেছে। সে চাকরি চুরি থেকে শুরু করে টাকা চুরি, ধর্মের নামে বিতর্ক সবটাই মেনে নিতে নিতে আজ এই পরিস্থিতি।
বাংলার বুকে বলিউডের এই দাদাগিরি চলতে দেওয়া যাবে না, সাফ কথা সাহেবের। তবে একই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে কোনো ক্ষোভ তাঁর নেই। সলমন খানের ছবি মুক্তি পেলেও বাংলা ছবির সঙ্গে এমনটাই করা হবে। তখনো মুখ খুলবেন সাহেব।