বাংলা হান্ট ডেস্ক : টেলিভিশনের পর্দায় আমরা যে সমস্ত মেগা সিরিয়ালগুলি (Bengali Serial) দেখি তার কাহিনীও কোনো না কোনো ভাবে উঠে আসে বাস্তব জীবন থেকেই। পর্দার চরিত্রগুলিও তাই খুব সহজেই জীবন্ত হয়ে ওঠে দর্শকদের কাছে। দীর্ঘদিন ধরে একইসাথে অভিনয় করতে করতে তারকাদের মধ্যেও তৈরি হয়ে যায় চিরকালের বন্ধন।
বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) অনস্ক্রিন দিদি-বোনের সাথে কেমন সম্পর্ক সোহমের?
ঠিক যেমনটা হয়েছিল কালজয়ী বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) ‘রাখি-বন্ধন’এর অনস্ক্রিন ভাই-বোন সোহম-কৃত্তিকার (Soham-Krittika) মধ্যেও। তবে শুধু কৃত্তিকাই নয় সোহমের সাথে আজও সেই একই সমীকরণ রয়েছে ‘অপরাজিত’ সিরিয়ালের অনস্ক্রিন দিদি দিতিপ্রিয়ার (Ditipriya Roy) সাথেও। বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) জগতে অভিনেতা সোহম বসু রায় চৌধুরীর (Soham Basu Roy Chowdhury) হাতেখড়ি হয়েছিল একজন শিশু শিল্পী হিসাবে।
সেই সূত্রেই ছোট পর্দায় তিনি দিতিপ্রিয়ার পুঁচকে ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। আর তেমনি কৃত্তিকার দায়িত্ববান দাদার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু সিরিয়াল শেষ হয়ে যাওয়ার এত বছর পরেও তাঁদের দুজনের সাথেই সোহমের সম্পর্কটা থেকে গিয়েছে একই। এমনটাই জানিয়েছেন খোদ অভিনেতা নিজেই।
তাঁর কথায়, দিতিপ্রিয়া এবং কৃত্তিকা শুধু তার অনস্ক্রিন দিদি কিংবা বোন নয়, বাস্তব জীবনেও সেই একই সম্পর্ক রয়েছে তাঁদের। সোহমের কথায়। ‘সিরিয়ালে যে সম্পর্কটা দেখানো হয়েছিল আমাদের সেটাই আসল সম্পর্ক।’ তবে এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছেন বাংলা সিরিয়ালের এই ক্ষুদে শিল্পী। সোহম এখন পড়াশোনা করছেন কলেজে। ওই একই কলেজের প্রাক্তনী দিতিপ্রিয়াও।
আরও পড়ুন : ‘পুলিশের কারণেই আমরা নিরাপদ!’ থানার আইসিকে রাখি পরিয়ে ট্রোলড লাভলী মৈত্র
কিছুদিন আগেই কলেজে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল দিতিপ্রিয়ার। এদিন পর্দার ভাইকে দেখেই ‘ভাই’ বলে জড়িয়ে ধরেছিলেন অভিনেত্রী। আজ পর্যন্ত তাঁরা একে অপরকে ভাই-দিদি ছাড়া অন্য নামে ডাকেননি কোনোদিন। এ প্রসঙ্গে এই সময় ডিজিটালকে সোহান জানিয়েছেন একইভাবে রাখিবন্ধন সিরিয়ালের ছোট্ট বোন রিতিকা প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেছেন, ‘আমার কাছেও দিদি দিদিই। আজ পর্যন্ত দিদি ছাড়া অন্য় নামে ডাকিনি ওকে। কৃত্তিকার ক্ষেত্রেও একই অনুভূতি আমার। ও আমার বোন। বড় আদরের ছোট বোন। সিরিয়াল শেষ হওয়ার পরও আমাদের সম্পর্কগুলোর সমীকরণ পাল্টায়নি।’
সোমবার রাখি-পূর্ণিমার দিন এই অনস্ক্রিন দিদি বোনকে একটু বেশি মনে পড়ছিল সোহমের। এছাড়া এদিন বোন কৃত্তিকার প্রসঙ্গেও সোহম বলেছেন, ‘কৃত্তিকা একদম ছোট ছিল। ওকে দেখে আমার নিজের কথা মনে হত। মনে হত অপরাজিততেও আমি ততটাই ছোট ছিলাম। কিছু বুঝতাম না।’ প্রসঙ্গত বাস্তব জীবনে সোহম দিতিপ্রিয়া ও কৃত্তিকার থেকে রাখিও পরেছেন। সেই সাথে আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়ে অভিনেতা বলেছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে \সব দিদি বোনেরা সুরক্ষিত থাকো। কৃত্তিকা-দিতিপ্রিয়াকে বলব, তোমাদের সঙ্গে আমার এই বন্ডিং কোনওদিনও পাল্টে যাবে না…। আজ থেকে ৫০ বছর পর দেখা হলেও যেন আমরা একে-অপরকে ভাই দিদি বলে জড়িয়ে ধরতে পারি।’