বাংলহান্ট ডেস্কঃ রবিবার জনতা কার্ফু জারী হওয়ার পর থেকেই কেন্দ্র সরকার কলকাতাসহ (Kolkata) বেশ কয়েকটি রাজ্যে লকডাউনের সিধান্ত জানিয়েছিলেন। মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে ২৩ শে মার্চ বিকেল ৫ টা থেকেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু তাঁর মধ্যেই সোমবার দুপুরেই দমদমের ৫৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রকপের ফলে। ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতেও সরকারের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে বেশ কিছু নাগরিককে শহরের রাস্তায় বেড়তে দেখা গেল।
সোমবার মধ্য রাতে নিউটাউনে রকে বসে আড্ডা দিতে দেখা গেল বেশ কয়েকজন নাগরিককে। সংক্রমণের গুরুত্ব না বুঝেই তাঁরা বেড়িয়ে পড়েছেন রাস্তায়। এই নিয়ম ভাঙ্গা ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করল নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। রাজ্য সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, লকডাউনের নিয়ম ভাঙ্গলে শাস্তি পেতে হবে। আর তাই করা করা হল। পুলিশ নেমে পড়ল রাস্তায়। নিয়ম ভাঙ্গার জন্য ২৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, জানায় লালবাজার।
কলকাতা পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা এক টুইট করে বলেন, ‘শহরবাসীকে ঘরে থাকার অনুরধ করছি। এবং পুলিসের সঙ্গে সহযোগিতার করার জন্য অনুরোধ করছি। এইসময় সমগ্র শহরজুড়ে চলবে পুলিসের টহলদারি অভিযান’। ইতিমধ্যেই পুলিশ রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে দিয়েছে। কোন গাড়ি রাস্তায় বেড়োলে, তাঁদের বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করার জন্য কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু সহ ৮০টি জেলায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। ভারতের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণকে WHO অনেক প্রশংসা করে। প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেদের রাজ্যবাসীকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। গৃহবন্দি করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণকে। ঘরে থেকে সরকারকে সাহায্য করার অনুরোধ করা হচ্ছে। রাজ্যে এখনও অবধি আক্রান্তের সংখ্যা ৯ এবং মারা গিয়েছেন ১ জন।