বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের ভেঙে পড়া অর্থনীতির কারনে একের পর এক সংস্থা বহিস্কার করছে কর্মচারীদের। দেশব্যাপী এই সংখ্যাটা গত কয়েক মাসে প্রায় ১৩ কোটি পৌঁছে গিয়েছে। তবুও এই অবস্থায় কিছুটা স্বস্তিতে আছে বাংলার চাকুরিজীবিরা।
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই) জানিয়েছে, বাংলায় বেকারত্ব গত মে মাসে ১৭.৩ শতাংশ ছিল। ভারতব্যাপী মে মাসে এই হার সাড়ে ২৩ শতাংশ ছিল বলে জানিয়েছে এই মুম্বই-ভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক।
তারা আরো জানিয়েছে, মার্চ মাসে পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার ৬.৯ শতাংশ ছিল, ভারতব্যাপী এই হার ছিল ৮.৮ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও এই ব্যাপারে টুইট করে জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস ও আমফান ঝড় সত্ত্বেও অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় বেকার জনগনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কম।
এই মুহুর্তে গোটা দেশ জুড়ে চলছে আনলকডাউন পর্ব। ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতি। এই মুহুর্তে বেশ কিছু সংস্থা বহিষ্কার করা কর্মীদের পুনরায় কাজে নিলেও, আগের পরিস্থিতিতে ফিরতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
প্রসঙ্গত, জুন মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়ম মেনেই আজ থেকে খুলে গেছে রাজ্যের অধিকাংশ অফিস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকরা আসছেন। সেখানে কি আদৌ কোনও সুরক্ষাবিধি মানা হচ্ছে। একটা সিটে তিন জন করে আসছেন, গাদাগাদি অবস্থা। ট্রেনে এতগুলো মানুষ গাদাগাদি করে যেতে পারলে চায়ের দোকান, মন্দির, অফিস, জুটমিলও খুলুক।”