সকালে ব্রেকফাস্ট, দুপুরে মিড ডে মিল! পড়ুয়াদের জন্য অভিনব উদ্যোগ নিল বাংলার এই স্কুল

বাংলা হান্ট ডেস্ক : পড়ুয়াদের পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে কেন্দ্র সরকার (Government Of India) নিয়ে এসেছিল ‘মিড ডে মিল প্রকল্প’‌ (Mid Day Meal Scheme)। স্কুল পড়ুয়াদের সাথে দুপুর বেলায় দেওয়া হয় ভাত, ডাল, সবজি, খিচুড়ি সহ নানা ধরণের পুষ্টিকর খাবার। তবে এবার থেকে মিড ডে মিলের পাশাপাশি মিলবে সকালের প্রাতরাশও (Breakfast)। এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে বাংলারই (West Bengal) এক স্কুল।

কেন এই উদ্যোগ?

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরেই দেখছেন যে, এমন অনেক পড়ুয়াই রয়েছে যারা কোনরকম খাবার না খেয়েই স্কুলে চলে আসে। এতে তাদের শারীরিক বিকাশ যেমন হয়না তেমন মানসিক বিকাশও হয়না। দুপুর অবধি না খেয়ে তারপর একবারে মিড ডে মিল খাওয়ায় তাদের স্বাস্থ্যের অবনতিই হচ্ছে। যে কারণে ঐ স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগতভাবেই এই উদ্যোগ নিয়েছে।

কুর্নিশ জানাচ্ছে রাজ্যবাসী

খবরটি চাউর হতেই রাজ্যবাসী কুর্নিশ জানাচ্ছে বর্ধমানের শ্রী রামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যাপীঠ প্রাইমারি বিদ্যালয়ের স্কুল কর্তৃপক্ষকে। তারা নতুন পরিকল্পনার পোশাকি নাম দিয়েছে ‘সকালের পুষ্টি, সকলের পুষ্টি’। জানা যাচ্ছে, সকালে শিশুরা স্কুলে এলেই পাবে ব্রেকফাস্ট। তারপর বেলায় মিলবে মিড ডে মিলের খাবার।

খরচ আসবে কোথা থেকে?

সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় সূত্রে খবর, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য এই প্রকল্প বাবদ খরচ করা হবে ৩ লক্ষ টাকা। যার অর্ধেক খরচ বহন করবেন শিক্ষিকা লাবণ্য রায় এবং বাকি অর্থ দেবেন প্রধান শিক্ষক পলাশ চৌধুরী ও তার বন্ধু রাসবিহারী ধনী। স্কুলের এই অভিনব ভবনাকে সাধুবাদ জানিয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষকের বন্ধু ডঃ রাসবিহারী ধনী

কী বলছে স্কুল কর্তৃপক্ষ?

সত্যি কথা বলতে, বাংলায় এরকম উদ্যোগ আগে কখনও দেখা যায়নি। রীতিমত নজিরবিহীন উদাহরণ স্থাপন করেছে বর্ধমানের শ্রী রামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যাপীঠ প্রাইমারি বিদ্যালয়। এই প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, টিফিন না খাওয়ার ব্যাপারটা খুবই অস্বাস্থ্যকর। তাই তার এই ভাবনা। ওদিকে লাবণ্য রায় বলেছেন, ‘স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিজের সন্তানসম বলে মনে করি, তাই এই উদ্যোগ।’ ডঃ রাসবিহারী ধনী জানিয়েছেন, ‘সমাজে কিছু ভালো কাজ করার ইচ্ছা, তাই বন্ধুর এই প্রকল্পে সহায়তা করছি।’


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর