বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) পূর্বে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। গোটা একটা রাত কাটল গভীর আতঙ্কে। রাতভর তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে চললো গুলিবৃষ্টি থেকে বোমাবাজি। কোনো ক্রমে খাটের নিচে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচল তৃণমূল নেতার। অভিযোগের তীর শাসক দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে। তীব্র আতঙ্কে এলাকাবাসী।
ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড় (Bhangar) এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পরে গেছে গোটা এলাকায়। ভাঙড়ের বাসিন্দা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ফজলে করিম (Fazle karim)। তার বাড়িতেই রাতভর চললো ভয়ঙ্কর গুলিবৃষ্টি।
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎই তার বাড়ি লক্ষ্য করে কমপক্ষে ১২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। কোনওটা লাগে বাড়ির দেওয়ালে। কোনওটা আবার জানলা দিয়ে গিয়ে লাগে বিছানায়। শুধু তাই নয়, গুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চললো বোমাবাজিও। তবে কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ফজলে করিম। তিনি আরও জানান, গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেতা কাইজার।
রাতভর আতঙ্কে কোনোরকম প্রাণ বাঁচার পর সকালে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফজলে করিম। তিনি জানান “কিছুদিন আগে আমি কাইজারের সঙ্গে এসএফআইয়ের যোগের প্রমাণ দিয়েছিলাম। দলের কাছে বিচারও চেয়েছিলাম। সেই কারণেই কাইজারের দুষ্কৃতীরার হামলা চালিয়েছে আমার বাড়িতে।” এর আগেও দুবার কাইজার তার বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ফজলে করিমের।
এদিন তৃণমূল সভাপতি দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে সুবিচার পাওয়ার আসায় বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কাইজারের বিচার চাই।” অন্যদিকে এই বিষয়ে মুখ খুলেছে শাসক শিবির। ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “যার বাড়িতে গুলি চলেছে, তিনি আতঙ্কিত হবেন এটাই স্বাভাবিক। যে অভিযোগ উঠছে সেটা ঠিক কি না, প্রথমে তা দেখতে হবে। যদি সত্যি হয়, সেক্ষেত্রে পুলিশ দল-মত না দেখে পদক্ষেপ করবে।”
অবশ্য ঘটনায় শাসকদলকে বিধঁতে বাকি রাখেনি লাল শিবির। ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি বলেন, “তৃণমূল নেতা সব থেকে বেশি খুন হয়েছেন ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছেন তৃণমূলের হাতেই।” সাথেই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, শাসকদলের শীর্ষ নেতারা যতই শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা বলুক। আদতে তেমনটা হবে না। তারা নিজেরাই সেই পন্থা অবলম্বন করবে না। ঘটনায় ইতিমধ্যেই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। চলছে তদন্ত- তল্লাশি।