বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জেল, কোন দোষের সাজা কাটতেই সাধারণত মানুষকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে একেবারে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন বেশিরভাগ মানুষই। কিন্তু জেলে থেকেও যে সবকিছু আবারও নতুন করে শুরু করা যায়, তা প্রমাণ করে দিলেন গুজরাতের ভানুভাই পটেল (bhanubhai patel)।
গুজরাতের ভাবনগরের বাসিন্দা হলেন এই ভানুভাই পটেল (bhanubhai patel)। আমেদাবাদের মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন তিনি। এরপর ১৯৯২ সালে তিনি আমেরিকায় যান মেডিক্যাল ডিগ্রি অর্জনের জন্য। সেখানে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কাজ করতেন তাঁর এক বন্ধু। এই বন্ধু তাঁর নিজের মাইনের সবটাই জমা করতেন ভানুভাইয়ের অ্যাকাউন্টে। এই অপরাধের কারণেই তাঁকে FERA আইনে গ্রেফতার করে ভানুভাইয়ের ১০ বছরের জন্য জেল হয়।
৫০ বছর বয়স থেকে ৫৯ বছর বয়স অবধি জেলের মধ্যেই বন্দী হিসাবে থাকেন। কিন্তু এই সময়ে মানসিক ভাবে দুর্বল না হয়ে গিয়ে এই সময়কে সঠিক কাজে লাগান ভানুভাই পটেল। জেলে থেকেই এই ৮ বছরে ৩১টি ডিগ্রি অর্জন অর্জন করেন ভানুভাই।
জেল থেকে মুক্তি পেলেও অনেকেই আর স্বাভাবিক জীবনে ফেরত যেতে পারেন না। সরকারী চাকরী কোনদিনই আর অর্জন করতে পারেন না। কিন্তু ভানুভাইয়ের এই সাফল্যের কারণে তিনি জেল থেকে মুক্তি পেতেই অম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরির সুযোগ পান। শুধু তাই নয়, চাকরীর পাশাপাশি পরবর্তী ৫ বছরে আরও ২৩টি ডিগ্রি নিজের কৃতিত্বের ঝুলিতে ভরে নেন ভানুভাই। তাঁর মোট ডিগ্রির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৪টি।
একদিকে যখন গোটা বিশ্ব করোনা মহামারির মধ্যে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে, তখন সেই সময়ে তিনি নিজের সমস্ত বিশ্বরেকর্ড এবং জেলবন্দী জীবন নিয়ে তিনটি বই লেখেন। হিন্দি, গুজরাতি এবং ইংরেজি ভাষায় তিনি এই বইগুলো লেখেন। ইংরেজি বইটির নাম দিয়েছেন ‘Behind Bars and Beyond’। তাঁর এইসকল কৃতিত্বে কারণে ইতিমধ্যেই তিনি জায়গা করে নিয়েছেন এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস, ইউনিক ওয়ার্ল্ড রেকর্ড, লিমকা বুক অফ রেকর্ডস, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড-এ।