বাংলাহান্ট ডেস্ক : যাদবপুর (Jadavpur) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী (Bharatiya Janata Party) ডক্টর অনির্বাণ গাঙ্গুলীর (Anirban Ganguly) পরিচয় অত্যন্ত ভদ্র, শিক্ষিত ও রুচিশীল বাঙালি হিসাবে। যাদবপুর কেন্দ্রে সায়নী-সৃজনদের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে বিজেপি কি তাঁকে কঠিন লড়াইয়ে ফেলে দিয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে একটুও ঘাবড়ে না গিয়ে অনির্বাণ গাঙ্গুলী মুখ খুলেছেন।
তার উত্তর, “আমরা সব লড়াই নিজেদের ১০০ শতাংশ দিয়ে লড়ি। কোনো লড়াইকেই আমরা ছোট বড় সহজ কঠিন হিসেবে দেখিনা। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনেক ভদ্র ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এখনো আছেন। এই ব্যাপারটি অত্যন্ত স্বাভাবিক ও সাধারণ হওয়া উচিত। তাই প্রত্যেকটি লড়াই অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে লড়া উচিত। সেই লড়াই সঠিকভাবে লড়ে জয় ছিনিয়া আনাই লক্ষ্য।”
আরোও পড়ুন : শখ মেটেনি ২টো বিয়ের পরেও! ঘটিয়েছেন আরোও এক নব কীর্তি! জানাজানি হতেই যা হল….
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবারের তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। অপরদিকে বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। বাংলার রাজনীতিতে ইদানিংকালে গ্ল্যামারের চটক চোখে পড়ার মতো। যেভাবে সায়নী-সৃজনরা প্রচারের পাশাপাশি সেলফি তুলতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, সেখানে অনির্বাণ গাঙ্গুলীর বাঙালিয়ানা, আদর্শ ভোটারদের মন জয় করতে পারবে কি?
আরোও পড়ুন : ভারতীয় অর্থনীতিতে এবার রকেটের গতি! ৮.২ শতাংশ হারে বেড়েছে GDP
সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী বলেন, সেলফি দিয়ে কিচ্ছু নির্ধারণ হয় না। তিনমাস ধরে আমাদের নিরন্তর নির্বাচনী প্রচার চলছে। আমরা মানুষের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছি। মানুষ গ্ল্যামার এবং চালাকি কোনোটাই চান না। সাধারণ মানুষ চান তাদের জনপ্রতিনিধিকে বিপদের সময় পাশে পেতে। দুর্যোগের সময় পাশে পেতে। জনপ্রতিনিধির কাজ সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শোনা ও তার সমাধান করা।
একই সাথে অনির্বাণ গাঙ্গুলীর সংযোজন, কারখানা বন্ধ করে দিয়ে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন রাজ্যে কাজে পাঠিয়ে তারা এখন রুটি-রুজির কথা বলছেন। অন্যদিকে নাম না করে তৃণমূলের প্রার্থীকে নিশানা করে অনির্বাণ গাঙ্গুলির মন্তব্য, একজন গ্ল্যামারাস প্রতিনিধি হলেন পার্ট টাইম রাজনীতিবিদ। তার প্রথম ফোকাস মানুষের পাশে থাকা নয়, তার শুটিং এবং রেকর্ডিং করা।