বাংলা হান্ট ডেস্ক : আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। জমা দেওয়া শুরু হয়েছে মনোনয়ন পত্র। উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য। এরই মধ্যে ভোটে তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) কোনও প্রার্থী দেওয়া যাবে না, এমনই হুমকি দেওয়া পোস্টার সাঁটানো হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) কাকদ্বীপ (Kakdwip)। এরপরই এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাটা কী? বৃহস্পতিবার রাতে কাকদ্বীপ তিন নম্বর মণ্ডল এলাকার নেতাজি অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় একটি হুমকি চিঠির আকারে পোস্টার দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই পোস্টারে বিজেপির কাকদ্বীপ তিন নম্বর মণ্ডল সভাপতি মেঘনাদ দেবশর্মার নাম করে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
কী দাবি বিরোধীদের? বিজেপির অভিযোগ, ওই পোস্টারে লেখা রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির কোনও প্রার্থীকে নেতাজি অঞ্চলে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড় করানো যাবে না। যদি কোনও প্রার্থীকে ভোটে দাঁড় করানো হয় তাকে গুলি করে মারা হবে। বাড়িতে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে। দেওয়া হবে গাঁজা কেস। ওই পোস্টারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মণ্ডল সভাপতি মেঘনাদ দেবশর্মা কোনও গ্রামে গেলে তাঁকেও খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ বিজেপির।
রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানান, সর্বত্র এমনই ব্যাপক হুমকির আবহ। পুলিসের কোনও ভূমিকা কোথাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এসব তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। আসলে পঞ্চায়েত ভোটে কোথাও কোনও প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে বিজেপি এমনই সব নাটক শুরু করছে।
অপরদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র পেশের প্রথম দিন ডায়মন্ড হারবার ১, বজবজ ২, বারুইপুর ও মগরাহাট ২ নম্বর ব্লক-সহ বিভিন্ন ব্লকে বিপত্তি। সময়মতো মনোনয়ন সংক্রান্ত কাগজপত্র পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। যদিও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রথমদিন কিছুটা দেরি হলেও সুষ্ঠুভাবে এবং নির্বিঘ্নে সারাক্ষণই বিভিন্ন দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশ সংক্রান্ত কাজকর্ম হয়েছে।
এদিকে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায়। ইন্দাসে সময়মতো প্রার্থীরা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের অফিস থেকে মনোনয়নপত্র না পাওয়ায় বিক্ষোভ দেখান। এমনকি বিডিও অফিসের সামনের রাস্তায় দলীয় কর্মি-সমর্থকদের নিয়ে বসে পড়েন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)।