বাংলা হান্ট ডেস্ক : এবার কি লাভ জিহাদের (Love Jihad) শিকার খোদ বিজেপি নেত্রী (Bharatiya Janata Party)? আসামের (Assam) গোয়ালপাড়া বিজেপির সেক্রেটারি জোনালি নাথের মৃতদেহ (Jonali Nath Murder Case) উদ্ধার হয় এনএইচ ১৭-র পাশে। তারপরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। হঠাৎ কেন খুন হতে হল বিজেপি নেত্রীকে এই প্রশ্নই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে মানুষের মনে।
ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে পুলিস। প্রকাশ্যে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। রহস্যে নাম জড়ায় এক পুরুষের। তাঁর নাম হাসানুর ইসলাম। মাটিয়া বাজার এলাকায় একটি জামা-কাপড়ের দোকান আছে তাঁর। জানা যাচ্ছে জোনালির সঙ্গে বছর দুয়েক ধরে সম্পর্কে ছিলেন তিনি।
পুলিস সূত্রে খবর জোনালির প্রেমিক হাসানুর আর একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এই খবর পৌঁছে যায় জোনালির কানে। তারপরই তাঁদের মধ্যে কথাকাটি শুরু হয়। এরই মধ্যে রাগের বসে জোনালিকে হত্যা করে হাসানুর। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই মনে করছে পুলিস।
এই ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জানা যাচ্ছে, জোনালির গলার কাছে নখের চিহ্ন পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও সেই বিষয়ে বলা হয়েছে। জানা যাচ্ছে জোনালিকে শেষবার দেখা যায় রবিবার বিকেলে একটি বাজারের মধ্যে। এরপরই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। অবশেষে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায় এনএইচ ১৭-র ধারে।
মুম্বইয়ের মীরা রোডে লিভ ইন পার্টনারকে খুনের ঘটনা উসকে দিয়েছে শ্রদ্ধা ওয়াকার স্মৃতি। আফতাবকাণ্ডের মতো খুনের পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত প্রেমিক। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ করেছে মুম্বই পুলিস। এরপর ধৃতকে জেরার পর উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। জানার চেষ্টা হচ্ছে খুনের পিছনে আসল কারণ। মীরা রোডের একটি বহুতল আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকত লিভ ইন পার্টনার সরস্বতী বৈদ্য (৩৬) এবং তার প্রেমিক ৫৬ বছরের মনোজ সাহানি। গত তিন বছর ধরে সেখানে রয়েছে তারা। মনোজ ছিল পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বোরিওয়ালিতে একটি ছোট দোকান রয়েছে তার।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, তিন-চার দিন আগে লিভ ইন পার্টনার সরস্বতীকে খুন করেছিল মনোজ। খুনের ঘটনা যাতে জানাজানি না হয়, তার জন্য মৃতদেহ ঘরেই রেখে দিয়েছিল সে। এরপর প্রমাণ লোপাটের পরিকল্পনা নেয় সে। একটি গাছ কাটার করাতের সাহায্যে সরস্বতীর দেহ ২০ টুকরো করে প্রেমিক মনোজ। এরপর টুকরোগুলো প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরেছিল অন্যত্র ফেলে দেওয়ার জন্য। ২০টি টুকরো করা হলেও, ঘর থেকে ১২ থেকে ১৩টি টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিসের এক কর্তা। বাকি টুকরোগুলি অন্যত্র ফেলে দিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিসের। এ ব্যাপারে মনোজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।