বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের প্রশ্নের মুখে শাসকদলের বিধায়কের ভূমিকা। এবার খবরের শিরোনামে পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ের (Bhatar) তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী (TMC MLA Mangobinda Adhikari)। কারণ কী? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। যা নিয়ে জোর চৰ্চা জেলা জুড়ে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বিধায়ক মারমুখী হয়ে তেড়ে যাচ্ছে তারই দলের কর্মী-সমর্থকদের দিকে। শুধু তাই নয় এক তৃণমূল কর্মী কে চড় থাপড় দিতে দেখা যাচ্ছে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী কে। একজন জনপ্রতিনিধির এই ধরনের মারমুখী রুপ দেখে শুরু হয়েছে তুমুল বির্তক।
তৃণমূল বিধায়কের এহেন কর্মকাণ্ডে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন দলেরই একাংশ। সূত্রের খবর, তৃণমূলের নব জোয়াড় কর্মসূচি কে কেন্দ্র করে এই ঘটনা। বর্তমান বিধায়কের অভদ্র ব্যবহারের জন্য ব্লক সভাপতি থেকে প্রাক্তন বিধায়ক কেউই এক যোগে কাজ করতে নারাজ। ফলে মাথা চারা দিয়ে উঠছে গোষ্ঠীকোন্দল। ভাতাড় এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত দুটি গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের র্যালির দিন বিধায়ক মানগোবিন্দর ডাকে লোক সমাগম না হলেও প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজারার নেতৃত্ব হাজার দশেক কর্মী সমর্থক হাজির হয়। তাতেই রেগে বোম মানগোবিন্দ। রাগে-ক্ষোভে তিনি তখন নিজের নেতা-কর্মীদের উপরই চরাও হন, আর সেই মুহূর্তের ভিডিও এখন রীতিমতো ভাইরাল। পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে খোদ বিধায়কের এহেন কাজে অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ঘটনা ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তরজা।
https://twitter.com/BanglaHunt/status/1659077907841527809?s=20
এই নিয়ে বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুধিরঞ্জন সাউ বলেন, “ভাতাড়ের তৃণমূল বিধায়ক, কখনও তিনি উল্টোপাল্টা বলেন, কখনও দেখছি উনি দলেরই কর্মীদের ওপর তেড়ে যাচ্ছেন মারার জন্য। নিজের ওপর আস্থা হারিয়েই এসব করছেন, কারণ উনি জানেন এরপর নিজের বাড়িতেও টিকতে পারবেন না। একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসছে ওনার বিরুদ্ধে, দলের কর্যকর্তারাই ওনার ওপর ক্ষুব্ধ।”
তার আরও সংযোজন, “আগে দেখা যেত তৃণমূলের জন্য সাধারণ মানুষ সুরক্ষিত নন, আর এখন দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের জন্য তৃণমূলের নেতারাও সুরক্ষিত নন। তৃণমূল মানেই দুর্নীতি আর লুঠ, এখনই যদি বাংলার মানুষ সজাগ না হন তবে তৃণমূল রাজ্যকে বিক্রি করে চলে যাবে।”
অন্যদিকে, এই নিয়ে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “এখনও ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানা নেই। নিশ্চই খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করবো। তবে ভিডিও যে কেও ভাইরাল করতেই পারে, তার সত্যতা যাচাই করতে হবে। কারোরই কারোর ওপর আক্রমণ করার অধিকার নেই।”