বাংলা হান্ট ডেস্ক: আরো একবার খবরের শিরোনাম সঞ্জয় রায়। এবার সঞ্জয়ের বোন নামে উঠল ভয়ংকর অভিযোগ। ভবানীপুর (Bhawanipur বিদ্যাসাগর কলোনিতে নাবালিকার রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসলো কেউটের ঘটনা। জানা যায় চার বছর আগে ওই নাবালিকার মা ববিতার একই রকম রহস্য মৃত্যু হয়েছিল। এরপরই বোন পূজাকে বিয়ে করেন জামাইবাবু। অতীতে মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। আর এবার আলমারির ভেতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল বছর ১১-র মেয়েকে।
নাবালিকার উপর অকথ্য অত্যাচার, সঞ্জয় রায়ের পরিবারে চাঞ্চল্য (Bhawanipur)
এগার বছর নাবালিকার রহস্য মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছে ভবানীপুর বিদ্যাসাগর কলোনি (Bhawanipur)। এই ঘটনার অভিযোগ উঠেছে সৎ মা ও বাবার দিকে। এছাড়াও সৎমার মাসি ও বাবার বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: রেলে চাকরি! ৫,৮১০ শূন্যপদে নিয়োগ, আবেদন করুন এই ভাবে
তারা জানান নাবালিকার ওপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হতো। দিনের পর দিন ওই নাবালিকাকে মারধর করা হত। খেতে দেওয়া হত না। রাত জেগে পড়িয়ে পড়াশোনা করানো হতো ওইটুকু মেয়েকে। এছাড়া পড়া না পারলে মাথার দেয়ালে ঠুকে দেওয়া হতো। এমনকি পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হলে চলত বেধারক মারধর।
উল্লেখ অমৃত নাবালিকা ঠাকুরমা এই বিষয়ে আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে, দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই এই ছবি বদলে যায়। নাতনিকে তার সঙ্গে দেখা করতে দিতেন না। পাশাপাশি নাতনিকে তার কাছেও আসতে দিতেন না। মৃত নাবালিকার ঠাকুমাও জানান, তারা আলাদা থাকত। বাড়িতে আমাকে ঢুকতে দিত না।
নাতনি আসতে চাইলেও, তাকে সবসময় দূরে রাখা হতো। এমনকি নাতনিকে বেল্ট দিয়ে পেটানো হতো বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত আরজিকর ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নি ১১ বছরের নাবালিকা ওই কিশোরী। সঞ্জয় রায়ের বড় দিদি ববিতার মেয়ে ছিল সে। ববিতার মৃত্যুর পর তার বোন অর্থাৎ সঞ্জয় রায়ের ছোট বোন পূজাকে বিয়ে করেন ববিতার স্বামী (Bhawanipur)।