যোগীরাজ্যে ফের চললো গুলি! নিশানায় ভীম আর্মি প্রধান, কোমরে গুলি লেগে গুরুতর অবস্থা চন্দ্রশেখরের  

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ মারাত্মক ঘটনা ঘটলো উত্তরপ্রদেশের সাহারনপুরের নিকটে। ভীম আর্মি চিফ চন্দ্রশেখর আজাদ রাবনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সেই স্থানে। সৌভাগ্যক্রমে গুলি লেগেছে তার কোমরে। তাই শুধুমাত্র আহতই হয়েছেন তিনি। সেই অবস্থাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভীম সেনাপ্রধান তার গাড়িতে করে কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তার ওপর এই মারাত্মক হামলা হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

এসএসপি ভিপিন টাডা জানিয়েছেন যে সশস্ত্র লোকেরা আজাদ সমাজ পার্টির জাতীয় সভাপতি এবং ভীম আর্মি নেতা চন্দ্রশেখর আজাদের কনভয়ের ওপর হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু গুলি চালানোর সময় হামলাকারীদের গুলি চন্দ্রশেখরের ভাইটালস ছুঁতে পারেনি। চিকিৎসকদের মতে তার জীবনের বা বড় কোনও ক্ষতির আশঙ্কা নেই। হরিয়ানার নম্বরপ্লেট যুক্ত একটি গাড়ি ব্যবহার করে হামলাকারীরা ওই স্থানে উপস্থিত হয়েছিল বলেও শোনা যাচ্ছে। ভীম সেনাপ্রধানের ওপর প্রাণঘাতী হামলার খবর শুনে তার সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চন্দ্রশেখরের অবস্থা কেমন সেই তথ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অনেকেই।

মিরাটের আজাদ সমাজ পার্টির জেলা সভাপতি পবন গুর্জার, চন্দ্রশেখরের উপর হামলাটি একটি বড় ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন। আজকের এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিলো। দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি তুলে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন সারাদেশের মানুষ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, এমন হামলা করে তাদেরকে যেন দুর্বল ভাবার ভুল কেউ না করে।

এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হামলাকারীদের গাড়িটি হরিয়ানা নম্বরের এবং মোট চারজন মানুষ এই গাড়িতে চেপে এসেছিল। হামলায় চন্দ্রশেখর আহত হওয়ার পাশাপাশি তার গাড়িও গুলিবিদ্ধ হয়। আশেপাশের প্রত্যক্ষদর্শী এবং অদূরে বসবাসকারী লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আশেপাশে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে। একাধিক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই আক্রমণকারীদের খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে।

অন্যদিকে চন্দ্রশেখরের ওপর হামলার খবর শুনে তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তার আত্মীয় স্বজনরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তবে চন্দ্রশেখরের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানা যাওয়ার পর তাদের মানসিক কিছুটা সুস্থিতি এসেছে। তবে এই ঘটনা তাদের মনে বেশ কিছুটা আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। চন্দ্রশেখর নিজে জানিয়েছেন, “আমার ভালো মনে নেই কিন্তু আমার লোকেরা তাদের শনাক্ত করতে পারবে। ওদের গাড়ি পালিয়ে যায় সাহারানপুরের দিকে। এরপর আমরা ইউ-টার্ন নিই। ঘটনার সময় আমার ছোট ভাইসহ আমরা পাঁচজন গাড়িতে ছিলাম।”

 

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর