নিজেকে নাবালিকা বাচ্চাদের আব্বা বলত পেয়ারে মিঞা, ধর্ষণ করার পর করাত গর্ভপাত!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে নাবালিকাদের ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার পেয়ারে মিঞার (pyare miyan) আরও এক নৃশংসতার ঘটনা সামনে আসছে। পেয়ারে মিঞা ধর্ষণের পর নাবালিকাদের অপারেশন করাত। এরজন্য সে একটি প্রাইভেট নার্সিংহোমে নিয়ে যেত নাবালিকাদের। সে নিজেকে নাবালিকাদের আব্বা বলে পরিচয় দিত। এই কথা পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে খোদ পেয়ারে মিঞা।

পেয়ারে মিঞা নাবালিকাদের নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে মদ খাওয়াত, এরপর ডান্স করিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করত। যেই নাবালিকারা গর্ভবতী হয়ে যেত, তাঁকে ভোপাল শহরের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত করাত পেয়ারে মিঞা। অভিযুক্ত নিজেকে ডাক্তারদের সামনে নাবালিকার আব্বা বলে পরিচয় দিত। আর ডাক্তার গর্ভপাত করাবে না বললে, পেয়ারে মিয়া নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হুমকি দিত। জিজ্ঞাসাবাদের পেয়ারে মিঞা সেই নারসিং হোমের নামও বলেছে যেখানে সে নাবালিকাদের গর্ভপাত করাত।

জম্মু কাশ্মীর থেকে ধৃত পেয়ারে মিঞাকে চাইল্ড লাইন আর পুলিশ লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের জেরায় অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, পেয়ারে মিঞা এক নাবালিকাকে ইন্দোরে অনেকবার ধর্ষণ করেছে। যখন নাবালিকা গর্ভবতী হয়, তখন ইন্দোর শহরে তাঁর সোনোগ্রাফি করানো হয়। এরপর শাহজাহানাবাদের একটি হাসপাতালে গর্ভপাত করানো হয়। ওই নাবালিকা পুলিশকে এই কথা জানানোর পর হাসপাতালকেও র‍্যাডারে নিয়েছে তদন্তকারী দল। পুলিশ খুব শীঘ্রই হাসপাতাল স্টাফকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাবে।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে যে, পেয়ারে মিঞা আড়াই বছর ধরে নাবালিকাদের ধর্ষণ করে আসছে। ইন্দোর ছাড়া ভোপালের ফ্ল্যাটেও অনেকবার ধর্ষণ করা হয়েছে নাবালিকাদের। যদিও, নির্যাতিতারা এখনো পর্যন্ত পেয়ারে মিঞা ছাড়া কারোর নাম নেয়নি। চাইল্ড লাইনের টিম লাগাতার নাবালিকাদের কাউন্সিলিং করে চলেছে। আগামী দিনে পেয়ারে মিঞা কেসে আরও বড় তথ্য সামনে আসতে পারে।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর