বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিধাতার লিখন খন্ডানোর সাধ্য কারোর নেই। আজ যে রাজা, কাল সে ভিক্ষের ঝুলি নিয়ে বেরোয়। উলটোটাও হয় প্রকৃতির খেয়ালে। ভাগ্য কখন কাকে কোন পথে নিয়ে যাবে তা আগে থেকে বলতে পারে না কেউই। নয়তো কেউ কোনোদিন ভাবতে পেরেছিলেন বীরভূমের এক অখ্যাত গ্রামের বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar) গোটা বিশ্বকে নাচাবেন তাঁর গানের তালে?
ভুবন নিজেও ভাবতে পারেননি কখনো। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়া বড়ই অদ্ভূত এক দুনিয়া। এখানে রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায় মানুষ। যেমনটা হয়েছিলেন ভুবন। ভাষার ভেদাভেদ ভেঙে দিয়েছিল তাঁর রচিত গান। এক বর্ণও না বুঝে ‘কাঁচা বাদাম’ এর তালে কোমর দুলিয়েছিল কর্ণাটক থেকে কোরিয়া।
ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়েছে ভুবনের। জনপ্রিয়তাকে কাজেও লাগাতে শিখেছেন তিনি। গ্রামে গ্রামে ঘুরে বাদাম বিক্রি কবেই ছেড়ে দিয়েছেন। এখন গান গেয়েই টাকা রোজগার করেন ভুবন। সঙ্গে খুলেছেন একটি ইউটিউব চ্যানেল। তাতেও সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা মন্দ নয়।
নতুন বাড়িতে ধনদেবীর আগমন হয়েছে ভুবনের। দু হাতে টাকা কামাচ্ছেন তিনি। আজ আইফোন, কাল ইউটিউব বাটন দেখিয়ে ভিউ তুলছেন ভিডিওতে। এবার লক্ষ্মী যাতে অচলা থাকেন সেজন্য একটি তাগড়াই লকারও নিয়ে আসলেন ভুবন।
খড়গপুরের এক ব্যবসায়ী বাদাম কাকুকে উপহার দিয়েছেন লকারটি। ভুবনের নতুন পাকা বাড়ি যখন তৈরি হচ্ছে তখন তিনি কথা দিয়েছিলেন, নতুন বাড়িতে রাখার জন্য একটি লকার এনে দেবেন। সেই কথা তিনি রেখেছেন। ভুবনের বাড়ি তৈরি যখন প্রায় শেষ তখন ঝাঁ চকচকে আর মজবুত লকারটি নিয়ে এলেন ওই ব্যবসায়ী।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পুরোটাই ভিডিও করে দেখিয়েছেন ভুবন। ব্যবসায়ী জানান, লকারটিতে চাবি ছাড়াও নম্বর লকও রয়েছে। আপাতত লকারটি ফাঁকা থাকলেও সাবস্ক্রাইবারদের জন্য সবটাই দেখিয়েছেন ভুবন। টাকাপয়সা এখন থেকে ওই লকারেই রাখবেন তিনি।