বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত কদিন ধরেই দেশের অন্যান্য সব সমস্যা দূরে রেখে মূল আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে লাভ জিহাদ। গেরুয়া শিবির এই নিয়ে বেশ কড়া অবস্থান গ্রহণের পক্ষে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে লাভ জিহাদের (Love jehad) বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত আইন এনেছে। আগামী ক্যাবিনেট বৈঠকে এই আইন পেশ করা হতে পারে। ফলে পরবর্তীকালে কেউ এই মামলা দোষী প্রমানিত হলে তার ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। আরও একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যেও একই ধরণের আইন প্রণয়নের কথা চলছে।
স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি শিবিরের এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। এসবের মাঝেই ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের (Bhupesh Baghel) কটাক্ষ, ‘বিজেপি নেতার ছেলে মেয়েরা যদি অন্য ধর্মের কাউকে বিয়ে করে, তাহলে সেটাও কী লাভ জেহাদ হবে?’ এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘সমাজে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের জন্যই বিজেপি এই লাভ জেহাদের প্রসঙ্গ আনছে। সামনেই বাংলায় ভোট। হিন্দু ভোট টানতেই বিজেপি লাভ জেহাদ নিয়ে এতো লাফালাফি করছে। কোনও মানুষ কোন ধর্মে বিয়ে করবে এটাতেও নজরদারি করতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু ওরা কি নিজের দলের নেতাদের সন্তানদের খেয়াল রাখছে?’
প্রসঙ্গত, কদিন আগেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে, বিবাহের জন্য ধর্ম পরিবর্তন করা বাধ্যতামূলক নয়। আর এই রায়ের পরেই উঠেপড়ে লেগেছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, এই বিষয়টিকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছেন AIMIM প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি রবিবার বলেন, ‘এই ধরণের আইন ভারতীয় সংবিধানের ১৪ ও ২১ নম্বর ধারার পরিপন্থী। আইনের কথা বলার আগে সকলের সংবিধান পড়া উচিত। বেরোজগারী থেকে যুব সমাজের নজর ঘোরাতেই বিজেপি এইসব করছে।’