বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার থেকে দিল্লিতে শুরু হচ্ছে জিএসটি (GST) কাউন্সিলের ৫৬তম বৈঠক। দুই দিনের এই বৈঠক ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা চরমে। জিএসটি (GST) সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ১৫ অগাস্ট লালকেল্লার বক্তৃতায় দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশবাসীর মনে প্রশ্ন উঠেছে যে, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতির রূপায়ণ কি ঘটতে চলেছে এই বৈঠকে?
কর (GST) কাঠামোয় বড়সড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবারের বৈঠকেই পণ্য ও পরিষেবা করের বড় ধরনের সংস্কার ঘোষণা হতে পারে। জিএসটির (GST) চারটি স্ল্যাব থেকে দু’টিতে নামিয়ে আনার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বলে খবর। বর্তমানে চালু থাকা ১২% এবং ২৮% করের স্ল্যাব বাদ দিয়ে কেবল ৫% ও ১৮% রাখার ভাবনা রয়েছে কাউন্সিলের। তবে বিলাসবহুল পণ্যের ওপর ৪০% পর্যন্ত কর চাপানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
স্বাস্থ্যবিমা ও জীবনবিমার উপর থেকে জিএসটি (GST) সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাবও গুরুত্ব পাচ্ছে। GoM বা Group of Ministers-এর সদস্যরা একমত, বিমায় কর কমালে সাধারণ মানুষ বড় স্বস্তি পাবে। তবে রাজ্যগুলির আশঙ্কা, বিমা সংস্থাগুলো যদি প্রিমিয়াম না কমায়, তাহলে কর ছাড়ের সুফল গ্রাহকরা পাবেন না।
সূত্রের খবর, খাবার, ওষুধ, বিমার প্রিমিয়াম, টেলিভিশন, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, সিমেন্ট থেকে শুরু করে গাড়ি-বাইক সহ মোট ১৭৫টি পণ্যের জিএসটি (GST) হার কমানো হতে পারে। প্রস্তাব কার্যকর হলে ২২ সেপ্টেম্বর থেকেই চালু হতে পারে নতুন কর কাঠামো। সেই সঙ্গে দীপাবলির আগেই সাধারণ মানুষের হাতে মিলতে পারে বড়সড় আর্থিক স্বস্তি।
আরও পড়ুনঃ ‘ফরম্যাট ছাড়া টাকা নয়’, হাইকোর্টের নির্দেশে খরচের হিসেব কষছে পুজো কমিটিগুলি
সব মিলিয়ে বলা যায়, এই বৈঠক শুধু কর কাঠামোর সংস্কার নয়, রাজনৈতিক দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দীপাবলির ‘দ্বিগুণ উপহার’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাতে গোটা দেশের নজর এখন জিএসটি (GST) কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে। আপাতত দিল্লির এই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে এখন সাধারণ মানুষ। দু’দিনের বৈঠকে জিএসটি নিয়ে কি কি কি সিদ্ধান্ত আসে এখন সেটাই দেখার।