বাংলা হান্ট ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মাঝে আবারও বিপাকে পড়তে চলেছে সাধারণ মানুষ। পেট্রোল-ডিজেলের পর এবার এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারকারীদের পকেটেও পড়তে চলেছে টান। জানা যাচ্ছে যে, এপ্রিল থেকে রান্নার গ্যাসের দাম আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে। মনে করা হচ্ছে, প্রতি কেজি গ্যাসের দাম বাড়তে পারে ১৫ টাকার চেয়েও বেশি।
এমনিতেই বিশ্বজুড়ে গ্যাসের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং এপ্রিল থেকে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব ভারতেও পড়তে পারে। যে কারণে এখানেও গ্যাসের দাম কার্যত দ্বিগুণ হতে চলেছে। পাশাপাশি, বিশ্বব্যাপী গ্যাসের ঘাটতির কারণে সিএনজি, পিএনজি ও বিদ্যুতের দামও বাড়বে।
এছাড়াও, গাড়ি চালানোর পাশাপাশি কারখানাতেও উৎপাদন খরচ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি, সরকারের সারের ওপর ভর্তুকি বিলও (Fertilizer Subsidy Bill) বাড়তে পারে। সামগ্রিকভাবে, এই সমস্ত কিছুর সম্মিলিত প্রভাব পড়তে চলেছে সাধারণ মানুষের ওপরেই।
এদিকে, রাশিয়া ইউরোপের গ্যাস সরবরাহের প্রধান উৎস। কিন্তু, বর্তমানে ইউক্রেনের সাথে বাড়তে থাকা যুদ্ধের আবহে এই সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদিও, বিশ্ব অর্থনীতি ইতিমধ্যেই করোনা মহামারীর প্রকোপ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলেও জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এবং বাড়তে থাকা দামের কারণে ফের তা প্রভাবিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এমতাবস্থায়, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের পরিস্থিতিকেই এই দামবৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরবরাহের ঘাটতির ফলে এপ্রিল থেকেই ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হবে গ্যাসের দাম। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি প্রতি MMBtu-তে ২.৯ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৬ অথবা ৭ ডলার করা হতে পারে।
এদিকে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মতে, গভীর সমুদ্র থেকে প্রাপ্ত গ্যাসের দাম ৬.১৩ ডলার থেকে বেড়ে প্রায় ১০ ডলার হতে পারে। পাশাপাশি, কোম্পানিটি আগামী মাসেই কিছু গ্যাস নিলাম করবে বলেও জানা গিয়েছে। এর জন্য, এটি ফ্লোর প্রাইসকে অপরিশোধিত তেলের সাথে যুক্ত করেছে, যার দাম বর্তমানে প্রতি MMBtu-তে ১৪ ডলার।