বাংলাহান্ট ডেস্ক : এনআরসি (NRC) নিয়ে বড় পদক্ষেপ ভারত সরকারের। জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস নিয়ে দীর্ধদিন ধরেই সরগরম দেশীয় রাজনীতি। কবে গোটা দেশে এনআরসি লাগু হবে তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে বিস্তর। এবার শুরু হয়ে গেল জাতীয় স্তরে নাগরিক পঞ্জি তৈরির প্রথম ধাপ। সরকার সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry) দেশের সমস্ত নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য ডেটাবেস তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে ক্যাবিনেট নোট ও বিল পেশ করা হয়েছে।
সংবিধান অনুসারে জন্ম ও মৃত্যুর নথি রাজ্য স্তরেই নথিভুক্ত থাকে। তবে কেন্দ্রের পরিকল্পনা, এবার থেকে এই জন্ম ও মৃত্যর নথি কেন্দ্রীয় স্তরে সংরক্ষণ করা হবে। এর জন্য জন্ম-মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন আইন বা রেজিস্ট্রেশন অব বার্থস অ্যান্ড ডেথস অ্যাক্ট-কে সংশোধন করে জনসংখ্যার নথির সঙ্গে নির্বাচনী নথি, আধার কার্ড, রেশন কার্ড, পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্সকে একসঙ্গে মিলিত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। ক্যাবিনেটের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত নোটে এই পরিকল্পনার কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।
কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, রেজিস্ট্রারার জেনারেল অব ইন্ডিয়া নাগরিকদের জন্ম-মৃত্যুর নথি বা ডেটাবেস আপডেট ও নিয়ন্ত্রণ করবে। রাজ্যের রেজিস্ট্রারারদের সঙ্গে মিলিতভাবে এই কাজ করবেন তারা। নিয়মিত বা নির্দিষ্ট সময় অন্তর আধার, রেশন কার্ড, নির্বাচন কমিশন, পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের সাহায্য নিয়ে এই ডেটাবেসকে আপডেট করা হবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশজুড়ে এনআরসি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ২০১৯ সালে। সেই প্রস্তাবকে বাস্তবায়নের জন্যই জাতীয় জনসংখ্য নিবন্ধন বা ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার আপডেটের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আজ থেকে বছর তিনেক আগে অসমে প্রথম এনআরসি শুরু হয়। এরপরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ নিয়ে দেশজুড়ে শুরু প্রবল বিতর্ক ও বিক্ষোভ। যার জেরে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় এনআরসি। এরপর করোনা সংক্রমণের জেরে আরও দেরি হয় সারা দেশ জুড়ে এনআরসি লাগু করতে।