বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজিকর কাণ্ডের (RG Kar Case) খুন ধর্ষণের ঘটনায় প্রতি মুহূর্তে আসছে নতুন নিত্য নতুন মোড়। অবশেষে এই ঘটনায় বিশেষ অ্যানালিটিক্যাল রিপোর্ট জমা দিয়েছে দিল্লির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল। সূত্রের খবর সিবিআই-কে দেওয়া এই রিপোর্টে বলা হয়েছে নির্যাতিতার দেহের আঘাত এবং অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে বোঝা যাচ্ছে এই ঘটনাটি কোন একজনের পক্ষে ঘটানো অসম্ভব নয়।
আরজি করের (RG Kar Case) ধর্ষণ-খুন একজনেরই কাণ্ড?
তবে বিষয়টি নিশ্চিত করতে আরও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। গত ৯ আগস্ট আরজিকর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) পর গত ১৪ই অক্টোবর দিল্লি কয়েকটি সেরা হাসপাতালে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত বিশেষ মেডিকেল বোর্ডের মতামত চেয়েছিল সিবিআই।
ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে সিবিআই তদন্তের মেডিকেল বোর্ডের প্রাথমিক রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে যে নির্যাতিতার মৃত্যুর চূড়ান্ত কারণটি হল শ্বাসরোধ করে খুন। পাশাপাশি ওই তরুণীর হাইমেন যেভাবে জখম হয়েছে তাতে নিশ্চিত ভাবে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। অন্যদিকে সঞ্জয় রায়ের শরীরেও অন্তত পাঁচটি ভোঁতা আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।
যা দেখে মনে করা হচ্ছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নির্যাতিতা নিজেকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছিল। তাই সে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে আঘাত করেছিল সঞ্জয়কে। এছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিলোত্তমার যোনিতে বল প্রয়োগে কোনো কিছুর প্রবেশ ঘটেছিল। তবে সেখানে নাকি বীর্যের কোন নমুনা পাওয়া যায়নি। এছাড়া তাদের দাবি পুরুষাঙ্গ ছাড়া অন্য কোন ভোঁতা বস্তু কিংবা কন্ডোম ব্যবহারের কারণে এমনটা হতে পারে।
আরওপড়ুন: টোটো নিয়ে কড়াকড়ি! নয়া ‘ব্যবস্থা’ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার
এখানে নির্যাতিতার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে যা ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের লালার নমুনার সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে। এছাড়া ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমেও এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত নির্যাতিতা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।
ওই দিন শ্বাসরোধের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলেও প্রমাণ মিলেছিল। সেদিন তার চোখ বিস্ফোরিত হয়ে গিয়েছিল এবং মৃত্যুর আগে তিনি ছটফট করছিলেন বলেই জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই ঘটনাটি একজনের পক্ষেও নাকি ঘটানো সম্ভব। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ঘটনাস্থলের ফরেন্সিক বিশ্লেষণ এবং অন্যান্য প্রমাণের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যেতে পারে।