বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আন্দোলনে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) পাশাপাশি একাধিক দাবি তুলেছেন তারা। এই আন্দোলনের মাঝেই বড় জয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। চাপের মুখে পড়ে কর্মচারীদের এই দাবি মানতে বাধ্য হল রাজ্য সরকার।
এখন প্রশ্ন হল, এর ফলে কতটা উপকৃত হবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা? ডিএ আন্দোলনকারীদের চাপে রাজ্য সরকার পিছু হটতে বাধ্য হল। জানা যাচ্ছে, খাদ্য দপ্তরের যে ১৪০০ পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সে সিদ্ধান্ত রাজ্য প্রত্যাহার করেছে। একটি রিপোর্ট মারফত এই খবরই উঠে আসছে। এই রিপোর্ট সামনে আসার পর রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, লাগাতার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, খাদ্য দপ্তরের ১৪০০ পদ অবলুপ্ত করা হচ্ছে না। তবে প্রত্যাহার করা হয়নি ‘প্রতিহিংসা মূলক বদলির’ সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত এর আগে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ জানিয়েছিলেন যে আন্দোলনে যোগদান করার জন্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিহিংসা মূলক বদলি করাচ্ছে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অন্যতম নেতা চন্দন গড়াই বলেছেন, “সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের লাগাতার আন্দোলন ও প্রতিবাদের ফলে রাজ্য সরকার খাদ্য দপ্তরের ১৪০০ পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। খাদ্যমন্ত্রী নিজে সে কথা জানিয়েছেন।” আন্দোলনরত আরও এক নেতা জানিয়েছেন, এই ১৪০০ পথ অবলুপ্ত না হওয়ায় নতুন করে চাকরি পাবেন আরো ১৪০০ যুবক-যুবতী।
বলা বাহুল্য, খাদ্য মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই মুখে হাসি ফুটেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন খাদ্য দপ্তরের সামনে। তাদের দাবি মহার্ঘ ভাতা আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার জন্য দুই কর্মচারীকে প্রতিহিংসামূলক বদলি করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।