বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, চরবৃত্তির অপরাধে ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) ৮ জন প্রাক্তন আধিকারিকের মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ করা হল কাতারের (Qatar) তরফে। উল্লেখ্য যে, গত বছর অগাস্ট মাসে কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা ওই ৮ জন আধিকারিককে আটক করেছিল।
যদিও, একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করা ওই ৮ জন আধিকারিককে ঠিক কি কারণে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তা প্রথমে দোহার ভারতীয় দূতাবাসকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। তারপরে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এই বিষয়ে আদালতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর জানা যায়, ভারতীয় নৌসেনার ওই ৮ জন প্রাক্তন আধিকারিকের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গত অক্টোবর মাসে কাতারের নিম্ন আদালত ওই ৮ জন অধিকারিকের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের হয়ে চরবৃত্তির দায়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছিল। আর তারপরেই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমতো আলোড়ন তৈরি হয়। পাশাপাশি, পুরো বিষয়টিতে নজর দেয় ভারত সরকারও। তবে, শেষ পর্যন্ত ওই দেশের সংশ্লিষ্ট আদালত ভারত সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমানোর কথা জানিয়েছে বলে খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের! মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদকে প্রত্যর্পণের দাবি বিদেশ মন্ত্রকের
মূলত, ভারতের তরফে ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন জানানো হয়। এমতাবস্থায়, চলতি মাসে কাতারের সংশ্লিষ্ট আদালত ভারতের আবেদন গ্রহণ করে। এদিকে, বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ওই আবেদন মেনে কাতারের আদালত মৃত্যুদণ্ডের সাজা মকুব করেছে। যদিও, মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আনলেও পরবর্তী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, সেই বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট কিছু জানানো হয়নি। এই প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘এই বিষয়ে আমরা কাতারের আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অপেক্ষা করছি।’’
আরও পড়ুন: গাধায় ভর্তি পাকিস্তান! অবস্থা এমন যে, এই চারপেয়ের কাঁধেই ভর করে চলছে দেশের অর্থনীতি
আট আধিকারিকের নাম: জানিয়ে রাখি যে, কাতারে যে ৮ জন নৌসেনার প্রাক্তন আধিকারিক মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেয়েছিলেন তাঁদের নাম হল ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্রকুমার বর্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, ক্যাপ্টেন নবতেজ সিংহ গিল, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুণাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা এবং নাবিক রাজেশ। জানা গিয়েছে, তাঁরা কাতারের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে নিযুক্ত বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন।