বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jawaharlal Nehru University) প্রাক্তন ছাত্র তথা সিপিআই (CPI) নেতা কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar) বিহার নির্বাচনের (Bihar Election) প্রচার অভিযানের দায়িত্ব সামলেছেন। বিহারের দুটি আসন থেকে সোমবার সিপিআই এর দুই প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। সেই সময় কানহাইয়া কুমারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন দাখিলের পর একটি জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় কানহাইয়া কুমার বলেন, ২০১৫ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের মানুষ জনতা দল ইউনাইটেড, রাষ্ট্রীয় জনতা দল আর কংগ্রেসের জোটকে ভোট দিয়েছিল আর নিতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিল। কিন্তু বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হ্যাক করে নেয়। কানহাইয়া কুমার এবারের নির্বাচনে মানুষকে এমন নেতাকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানান, যিনি নিজের করা প্রতিশ্রুতি থেকে পিছু হটেন না।
কানহাইয়া বলেন, আগে সবাই বলত ইভিএম হ্যাক হয়, কিন্তু বিজেপি তো এখন মুখ্যমন্ত্রীদেরও হ্যাক করে নেয়। বিজেপিকে কটাক্ষ করে কানহাইয়া বলেন, যখন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেসে ছিলেন, তখন ওনাকে খারাপ বলা হত। যখনই তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন, তখনই উনি শুদ্ধ হয়ে গেলেন।
উনি বলেন, আমাকে বেশি দেশদ্রোহী বললে আমি বিজেপিতে যোগ দেব এরপর আমার বিরুদ্ধে করা সমস্ত অভিযোগ খারিজ হয়ে যাবে। জানিয়ে দিই, সিপিআই লালু প্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতৃত্বে এবার বিহারে মহাজোটের অংশ হয়েছে। বিহারের বখরি আর তেঘড়া বিধানসভা আসনে সিপিআইয়ের প্রার্থীদের দাঁড় করানো হয়েছে।
কানহাইয়া বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, জনতা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে যে, এবার তাঁরা উন্নয়নের ইস্যুতেই ভোট দেবে। তাঁরা আর কোনও জুমলাবাজিতে কান দেবে না। জানিয়ে দিই, কানহাইয়াকে সিপিআই-এর স্টার প্রচারকের তালিকায় রাখা হয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছিল যে, ওনাকে এবার বিধানসভা ভোটে লড়তে দেখা যাবে। কিন্তু ওনার বদলে সিপিআই-এর অন্য দুই নেতাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর ওনাকে শুধু প্রচারের দায়িত্বে রাখা হয়েছে।