বাংলাদেশে পুজো মন্ডপে তান্ডব নিয়ে বিস্ফোরক বিকাশ ভট্টাচার্য, ফেসবুকে পোস্ট করে ছড়ালেন উত্তেজনা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘অষ্টমী পুজোর দিন কেন মাইকে মন্ত্রোচ্চারণ করা হবে?’ এমন বিতর্কিত মন্তব্যের পর আবারও সংবাদ শিরোনামে উঠে এলেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (bikashranjan bhattacharya)। বাংলাদেশের মন্ডপে প্রতিমা ভাংচুরকে ইস্যু করে স্যোশাল মিডিয়ায় আবারও করে বসলেন এক মন্তব্য।

সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশের (bangladesh) কুমিল্লা জেলার নানুয়া দীঘিতে একটি দুর্গা পুজো (durga puja) মন্ডপে হামলার খবর উঠে আসে। অভিযোগ, দুর্গা পুজোয় কোরানের অপমান করা হয়েছে। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ঝামেলা বড় আকার ধারণ করে। অন্যায়ভাবে মন্ডপের ঠাকুরের মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়। মাঝপথেই অসম্পূর্ণ থেকে যায় দুর্গা পুজো।

এই ঘটনায় ‘বাংলাদেশ হিন্দু ঐক্য পরিষদ’ সংগঠনটি কুমিল্লার সকল হিন্দুকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়। এমনকি তাদেরকে সকলকে মন্দিরে একসঙ্গে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে হিন্দুদের সুরক্ষা প্রদানের বিষয়েও জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ হিন্দু ঐক্য পরিষদ’।

এই বিষয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন, ‘বাংলাদেশে কি পরিকল্পনা করে দাঙ্গা লাগিয়ে ভারতে দাঙ্গা বাঁধাবার চেষ্টা হচ্ছে? বাংলাদেশের ইসলামি মৌলবাদীদের সঙ্গে ভারতের হিন্দুমৌলবাদীদের কী কোন বোঝাপড়া আছে? রাজনাথ সিং এর সাম্প্রতিক বক্তব্য ও কুমিল্লার ঘটনা কী নিছক কাকতালীয়? হিংটিং ছট প্রশ্ন এসব মাথার ভিতর কামড়ায়’।

https://www.facebook.com/bikashranjan.bhattacharyya/posts/10157911309347583

প্রসঙ্গত অষ্টমী পুজোতে মাইকে মন্ত্র উচ্চারণ নিয়ে আপত্তি তুলে মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ কমিশনারকে আক্রমণ করে স্যোশাল মিডিয়ায় বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য লিখেছিলেন, ‘এ শহরে নেই মহানাগরিক। আছে ,এক মুখ্যমন্ত্রী। অপরাধী মুখ্যমন্ত্র। তাদের কাছে নাগরিকদের কোন বিশেষ আশা নেই। কিন্তু, এক নগরপাল তো আছেন। ,আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়প্রাপ্ত। আইনের অনুশাসন রক্ষা করা যার প্রাথমিক কর্তব্য। তিনি কি বধির? মাইকে চলছে উন্মত্ত চীৎকার। শব্দদূষণ কথাটাই যেন অবলুপ্ত হয়ে গেছে। মন্ত্রপাঠ ব্যক্তিগত আচরণের বিষয়। চিলচিৎকারে অবোধ্য কিছুশব্দ জোর করে শোনাতে হবে? সেটা কোন সংস্কৃতির অঙ্গ তা আমার জানা নেই। নগরপাল একটু নড়াচড়া করুন। কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করুন।’

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর