বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজ্য রাজনীতির মানুষদের সদলবদলে সিনেমা দেখতে যাওয়া নতুন নয়। এর আগে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ মুক্তি পাওয়ার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা দেখে এসেছিলেন ছবিটি। এবার সিপিএম নেতারা চললেন ‘ অপরাজিত’ (Aparajito) দেখতে।
২১মে বিকেলে প্রিয়া সিনেমা হলে বিকেল চারটের শোতে পরিচালক অনীক দত্তের ছবিটি দেখবেন বাম নেতারা। যাচ্ছেন বামফ্রন্ট চেয়্যারম্যান বিমান বসু (Biman Bose), সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty), কলকাতা জেলার সম্পাদক কল্লোল মজুমদার। এছাড়াও দলীয় সমর্থক ও কর্মীরাও অনেকে যাচ্ছেন ছবিটি দেখতে।
আসলে যাদবপুরের বাম সমর্থক ছাত্র ও যুবকরাই সুজন চক্রবর্তীর কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন অপরাজিত দেখতে যাওয়ার। তারপরেই এই পরিকল্পনা। প্রায় দেড়শো টিকিট কাটা হয়েছে বলে খবর। অনেক বছর আগে ‘চিটাগং’ ছবিটি হলে গিয়ে দেখেছিলেন বিমান বসু। এবারে অপরাজিত দেখার বিষয়ে বেশ আগ্রহী ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, অপরাজিতর পরিচালক অনীক দত্ত যে বাম সমর্থক তা সকলেই জানেন। একাধিক বার রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘অপরাজিত রায়’ ওরফে অভিনেতা জিতু কামালও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব বসুর বন্দনা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তেমনি ছবিতে তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ এবং বিজেপি কর্মী অঞ্জনা বসুও রয়েছেন।
গত ১৩ মে মুক্তি পেয়েছিল অনীক দত্তের অপরাজিত। শুরুতে মাত্র ২২ টি হলে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। আর এখন শোয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ টি। তাও ছয় দিনে। সপ্তাহের শেষে সংখ্যাটা ১০০ ছোঁবে বলেই আশাবাদী প্রযোজকরা। আগে বাংলার পাশাপাশি মুম্বইতেও দেখানো হচ্ছিল অপরাজিত। হাউজফুল চলছিল সেখানেও।
এবার তালিকায় জায়গা পেল আরো বেশ কয়েকটি রাজ্য। তাদের মধ্যে রয়েছে ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, হায়দরাবাদ, উত্তরপ্রদেশ, আসাম, দিল্লি, গুজরাটের মতো রাজ্য। দক্ষিণী ছবির বাড়বাড়ন্তের মাঝেই বাংলা ছবি সগৌরবে স্থান করে নিচ্ছে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে।