ভারত (India) আর পাকিস্তানের (Pakistan) সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হয়েই চলেছে। জম্মু আর কাশ্মীরে যখন থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া হয়েছে, তখন থেকে পাকিস্তান লাগাতার সীমান্তে যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাঁরা বারবার যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করাতে চাইছে ভারতে।
যদিও বেশিরভাগ সময়েই তাঁরা তাঁদের এই কাজে ব্যর্থ হচ্ছে। এবার সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat) বলেন, লাইন অফ কন্ট্রোলে যেকোন সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। আর উনি এর জন্য ভারতীয় সেনাকে (Indian Army) প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।জম্মু কাশ্মীর কেন্দ্র শাসিত রাজ্য হওয়ার পর, আর সেখান থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর পাকিস্তান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান লাগাতার এই ইস্যু আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ভারতকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে গেছেন।
কিন্তু বারংবার তিনি এই কাজে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি পাকিস্তান তাঁদের পরম মিত্র চীনকে দিয়ে আবারও জাতি সঙ্ঘের সুরক্ষা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যু তোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন এর মতো শক্তিধর দেশ গুলো ভারতের পাশে দাঁড়ানোয় চীন বাধ্য হয়ে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে চর্চার প্রস্তাব খারিজ করেছে।এর আগে গত সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ট্যুইট করে ভারতের লোকসভায় পাশ হওয়া নাগরিকতা সংশোধন বিলের বিরোধিতা করেছিলেন।
পাকিস্তান এর আগে জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করেছিল, এবার পাকিস্তান আবারও ভারতের অভ্যন্তরীণ মামলায় নাক গলিয়ে নাগরিকতা সংশোধন আইনের বিরোধিতা করছে। আরেকদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মোক্ষম জবাব দেওয়া হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। ভারতের থেকে পাকিস্তানকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, নিজের দেশ সামলান, সেখানকার অত্যাচারিত সংখ্যালঘুদের দিকে নজর দিন আগে। ভারতকে নিয়ে কিছু বলার আগে নিজের চরকায় তেল দিন।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ট্যুইট করে মোদী সরকার আর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে আক্রমণ করেছিলেন। উনি বলেছিলেন নাগরিকতা সংশোধন আইন আরএসএস এর হিন্দু রাষ্ট্রের অ্যাজেন্দা, যেটা নিয়ে মোদী সরকার কাজ করে চলেছে। আরেকদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সুজারল্যান্ডে গিয়েও ভারতের বিরোধিতা শুরু করে দিয়েছেন। এমনকি তিনি ওখান থেকে ভারতের নাগরিকতা সংশোধন আইন নিয়ে ভারতকে পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।