বাংলাহান্ট ডেস্ক : একসময় বাংলা ছবিতে ভিলেন বলতেই ডাক পড়ত তাঁর। কাজ করেছেন সত্যজিৎ রায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো তাবড় ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে। পরবর্তীতে পর্দা কাঁপিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পালদের সঙ্গে। তিনি অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় (Biplab Chatterjee)। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর অভিনয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু এখন আর অভিনয়ে দেখা যায় না তাঁকে।
টলিউডে কেউ ফোন ধরেন না বলে অভিযোগ বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের (Biplab Chatterjee)
টলিউডে স্পষ্টবাদী হিসেবে পরিচয় রয়েছে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় (Biplab Chatterjee)। তাঁর অনেক মন্তব্য নিয়ে বিতর্কও হয়েছে। বর্তমান টলিউড ইন্ডাস্ট্রির কাজের ধরণ, অভিনেতাদের নিয়েও কটাক্ষ শানাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু একসময় যেখানে প্রায় অধিকাংশ ছবিতেই খলচরিত্রে দেখা যেত তাঁকে, এখন নাকি আর ফোনও আসে না তাঁর কাছে। জন্মদিনে বর্তমান ইন্ডাস্ট্রির পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ, অভিমান উগরে দিলেন তিনি।
বর্তমান ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অভিযোগ: আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেন, পুরোদমে যখন অভিনয় করতেন তখন জন্মদিনে ফোন আসত। সেসব বহুদিন চুকেবুকে গিয়েছে। এখন তাঁর ফোনই কেউ ধরেন না! নাম না করে এক পরিচালকের কথা বলতে গিয়ে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় (Biplab Chatterjee) জানান, বছর দুয়েক আগে এক পরিচালকের সিরিজে কাজ করেছিলেন। তখন প্রচুর ফোন আসত। কিন্তু কাজ ফুরোতেই কথা বন্ধ!
আরো পড়ুন : আর মাত্র ৫ বছরের মধ্যেই শুকিয়ে যাবে গোটা শহর! ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কা আন্তর্জাতিক রিপোর্টে
সত্যজিৎকে নিয়ে স্মৃতি ভাগ অভিনেতার: একসময় সত্যজিৎ রায়ের ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। পুরনো স্মৃতি ভাগ করে নিয়ে প্রবীণ অভিনেতা জানান, সত্যজিৎ রায়ের মতো এত বড় মাপের পরিচালকও শেষ দিন পর্যন্ত নিজের ফোন ধরতেন। নিপাট ভদ্রলোক ছিলেন তিনি। আর এখন সবাই ‘মুরুব্বি’। বহুদিন হয়ে গেল কোনো ছবিতেও দেখা মেলে না বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের (Biplab Chatterjee)। কিন্তু কেন তাঁকে ডাকা হয় না, তিনি জানেন না। ‘অভিজ্ঞ চোখ দিয়ে অনেককিছু বুঝে ফেলব, তাই?’ প্রশ্ন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের।
আরো পড়ুন : ‘তুলসী’ হয়েই কামব্যাক ছোটপর্দায়, ‘জীবন বদলে দিয়েছে…’, রাজনীতি ছাড়লেন স্মৃতি?
যদিও ইন্ডাস্ট্রিতে সক্রিয় না থাকলেও ইন্ডাস্ট্রির পরিবর্তন নজর এড়ায় না অভিনেতার। তাঁর কথায়, এখন দলাদলি, রাজনীতি বেড়ে গিয়েছে। কাজের মান কোথায় নেমে গিয়েছে! সকলেই ‘অর্থলোভী’। কটাক্ষ করে অভিনেতা বলেন, ‘অর্থের লালসায় সরকারি কোষাগার শূন্য। যত দল তত বিবাদ। এসব হওয়ারই ছিল’। অবশ্য অভিনেতার কথায়, প্রত্যেকের মধ্যেই ভালো খারাপ মিশিয়ে রয়েছে। শুধু দোষগুলি না ধরে ভালো গুণও খুঁজে বের করতে হবে।