বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটগ্রহণ হয়েছিল ২৫ নভেম্বর আজ রবিবার ২৮ নভেম্বর হল আগরতলার পুরভোটের গণনা। ফলাফল অনেকটাই প্রত্যাশিত। কারণ, বিশ্লেষকরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, তৃণমূল উঠেপড়ে লাগলেও এই পুরভোটে দাঁত ফোঁটাতে পারবে না। তবে, তৃণমূল যে অপ্রত্যাশিত ভাবে ভালো ফল করেছে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃণমূলই এখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী মুখ। অন্যদিকে প্রায় তিন দশক ত্রিপুরায় রাজত্ব করা বামেরা এবারের নির্বাচনে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে।
ত্রিপুরার ১৩টি পুরসভা আর ৬টি নগর পঞ্চায়েত এখন বিজেপির দখলে। আগরতলার ৫১-র মধ্যে ৫১টি আসনেই নয়লাভ করে বিজেপি তাঁদের শক্তি দেখিয়েছে। অন্যদিকে মোট ৩৩৪টি আসনের মধ্যে ৩২৯টিই দখল করেছে বিজেপি। সিপিএম পেয়েছে ৩টি আসন আর তৃণমূল এবং ত্রিপরা ১টি করে আসন পেয়েছে।
ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সর্বপ্রথম ত্রিপুরাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তিনি বলেন, যেভাবে ত্রিপুরাবাসীকে অপমানিত করা হচ্ছিল, কুৎসা রটানো হচ্ছিল তাঁর সঠিক জবাব দেওয়ার জন্য আমি ত্রিপুরাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। ৯০ শতাংশ আসনেই মানুষ বিজেপির উপর আস্থা রেখেছে। এই ভোটই ঠিক করে দিয়েছে ত্রিপুরার মানুষ কোনদিকে যেতে চায়। এখানে কেউ সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু নয়। এখানে সবাই ত্রিপুরার মানুষ। সবাই একসঙ্গে থাকতে চায় আর উন্নয়ন চায়। এটা ত্রিপুরার স্বাভিমানের জয়। বিপ্লব দেব আরও বলেন, ‘তৃণমূলের উচিৎ বাংলার ঐতিহ্য যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে নজর রাখতে। সেই বার্তাই ত্রিপুরাবাসীরা দিয়েছেন।”
অন্যদিকে ত্রিপুরায় তৃণমূলের ফলে বেশ আশাবাদী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, তিন মাসে আমরা ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছি। ২০২৩-র নির্বাচনে ত্রিপুরার মানুষ বদলের লক্ষ্যে ভোট দেবেন। আমরা ক্ষমতায় আসব।