বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার রাতে বীরভূমের মাড়গ্রামে (Margram) বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনায় মৃত্যু হয় তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই লাল্টু শেখের (Laltu Sheikh)। কিছুটা টানাপোড়েনের পর তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয় এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে। আজই তাঁর দেহ মাড়গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গোটা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার মূল অভিযুক্ত আইনুল শেখ এখনও অধরা।
প্রসঙ্গত, বোমা ফেটে গুরুতর আহত হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই। এরপর রবিবার দুপুর ১২.৩৫ মিনিটে এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ারে মৃত্যু হয় লাল্টুর। প্রথমে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে, তবে আশ্চর্যজনকভাবে সেটা স্বীকার করতে চাইছিলেন তাঁর না পরিবার সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। এর বহু পরে লাল্টুর মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
শুধু তাই নয়, লাল্টুর মৃত্যুর পর পদে পদে দানা বাঁধছে রহস্য। দেহের ময়নাতদন্ত নিয়েও ধন্দ কম হয়নি। বিকালে ময়নাতদন্ত করা হবে কিনা সেই নিয়েও চলছিল টানাপোড়েন। আজ সকালে দেহ নিয়ে যাওয়া হলেও হাসপাতালের যে রাস্তা দিয়ে ময়নাতদন্তের পর দেহ বার করা হয়, সেক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়। এই সমস্ত বিষয় নিয়েই চলছে চৰ্চা। মৃত্যুর পর কিসের এত লুকোচুরি! এই প্রশ্নই উঠে আসছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মাড়গ্রামের হাসপাতাল মোড় এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তৃণমূল নেতার ভাইকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রথমে। এরপর আনা হয় কলকাতায়। তাঁর মাথায় ও শরীরে স্প্লিন্টার এর আঘাতের গভীর ক্ষত ছিল বলেই জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বাইকে করে বোমা নিয়ে যাবার সময়ই বোমা ফেটে গুরুতর আহত হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই লাল্টু শেখ ও মৃত্যু হয় লাল্টুর সঙ্গী নিউটন শেখের।
তবে কারও কারও দাবি, তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। গোটা ঘটনা কিভাবে ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। মাড়গ্রামে এখনও মোতায়েন রয়েছে পুলিশ পিকেট। তবে অন্যদিকে লাল্টুর মৃত্যুর পর সন্তর্পণে নিয়ে যাওয়া ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। এবিষয়ে দলের একাংশের মত, বীরভূম তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব যেরকম বলছে সেভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে গোটা বিষয়টা।