বাংলা হান্ট ডেস্ক: খুশির হাওয়া লাভপুরে। বীরভূমের (Birbhum) লাভপুরের মজুমদার ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাচ্ছেন ‘শিক্ষারত্ন’পুরস্কার। এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় খুশির আবহ সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায় এই বিদ্যালয়টি আদিবাসী অধ্যুষিত। কাঞ্চন ব্যানার্জি যোগদানের পর থেকে ওই বিদ্যালয়ের উন্নতি চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছেছে বলে দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে খুশি গোটা গ্ৰামবাসী।
গোটা লাভপুরে খুশির হাওয়া, শিক্ষারত্ন পাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায় (Birbhum)
১৯৯৯ সালে শাসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথম শিক্ষক হিসেবে যোগদান কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সেখান থেকে ২০০৭ সালে তিনি বীরভূম (Birbhum)জেলার মজুমদার ডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে। শুধুমাত্র যে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা তিনি ভেবেছেন তা নয়। পাশাপাশি বিদ্যালয় উন্নতির জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই মজুমদার ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ছিল মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত। তবে তিনি এখানে এসে এই বিদ্যালয়ের উন্নতি করিয়েছেন। পাশাপাশি বহু ছেলে মেয়েকে তিনি শিক্ষিত করিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পুজোয় রাজকীয় স্বাদে নিরামিষ ভোজ হয়ে যাক! এই বাদশাহী ছানায় মুগ্ধ হবেন সকলে, জানুন রেসিপি
শিক্ষাকতাকে ভালোবেসে বীরভূম (Birbhum)জেলার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানের জন্য এইখানে আসেন তিনি। প্রথমে শাসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকতা করে। সেখান থেকে ২০০৭ সালে লাভপুর বিদ্যালয় যোগদান করেন। গ্রামবাসীদের দাবি তার উদ্যোগে স্কুলে প্রতি মাসে বিদ্যালয় প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী জন্মদিন পালন করা হয়। এছাড়াও পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবল দল গঠন করে তিনি প্রশিক্ষণও দেন। তবে এখানেই শেষ নয় তিনি ইউটিউবে ভিডিও করে ডিজিটাল ভাবে শিক্ষাদানও করেন।
এমনকি তিনি গরমের মরশুমে পড়ুয়াদের শারীরিক সমস্যা না হয় তার জন্য ওয়াটার বেল প্রথম চালু করেছিলেন। প্রধান শিক্ষকের নানান ধরনের পদক্ষেপ গ্রামবাসীদের তো বটেই পাশাপাশি এলাকাতে তাকে খুব জনপ্রিয় করে তুলেছিল। এলাকাবাসীদের থেকে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করা ছিল সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জের। সেই চ্যালেঞ্জ তিনি হাসিমুখে গ্রহণ করে সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের মুখে করেছেন। এর ফলে তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন এলাকাবাসী থেকে শুরু করে শিক্ষিত সমাজের সকলের কাছ থেকে।
এই সমস্ত কারণে জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাকে তুলে দেওয়া হবে ‘শিক্ষারত্ন পুরস্কার’ (Shikshruttana Puraskar)। ইতিমধ্যে তিনি এই পুরস্কার নেওয়ার জন্য কলকাতায় আসছেন। চলতি বছর ৪ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার হাতে এই ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কারটি তুলে দেবেন।